‘মন্ত্রী-ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তেলের দাম বাড়িয়েছেন’
মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তেলের দাম বাড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর পল্টন মোড়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশে সয়াবিন তেলের কোনো সংকট ছিল না। মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তেলের দাম বাড়িয়েছেন। সয়াবিনের দাম বাড়িয়েছেন, তাহলে জনগণের আয়ও ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেন।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ আমলাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ আছে। তারাই ব্যবসায়ীদের জানিয়েছে, ঈদের পর তেলের দাম বাড়বে। তখনই ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করবে বলে মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। এ সরকারের চেহারা ও মন্ত্রীদের চেহারা এখানেই স্পষ্ট হয়।
সিপিবি সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম বাড়লে আপনারা বাড়ান, অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে আপনারা কমান না। মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে দাম বাড়ানো হয়। সরকার যদি নিজে থেকেই তেলের দাম বাড়ায়, তাহলে তো ব্যবসায়ীরা তার সঙ্গে আরও দাম জুড়ে দিয়ে বেশি দামে বিক্রি করবে। এতে তো কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, সয়াবিনের সঙ্গে সম্পর্ক দেশের ১৬ কোটি মানুষের। তারা সবাই ক্রেতা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মন্ত্রী বৈঠক করলেন। অথচ ক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কোনো প্রয়োজন মনে করলেন না। তার মানেই হলো- জনগণের যা হয় হোক, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে হবে। কারণ মন্ত্রীরা তো ভোটে মন্ত্রী হয়নি।
সেলিম বলেন, আমরা হরতালের ডাক দিয়েছিলাম। যদি জনগণ রাস্তায় নেমে আসতো, তাহলে এ সরকার আজকে সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সাহস পেতো না। সবাইকে বুঝতে হবে, এ সরকার জনগণের সরকার নয়। লুটেরাদের সরকার।
বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ দেশে ব্রিটিশরা শোষণ করতো, পাকিস্তানিরা শোষণ করতো। তারা ইংরেজি ও উর্দুতে কথা বলতেন। বর্তমানেও কিছু মানুষ একই কায়দায় শোষণ করে যাচ্ছে, যারা বাংলায় কথা বলেন। বিদেশে যে টাকা পাচার হয়ে গেছে, তা প্রায় বাজেটের সমান। এটা সরকারেরই হিসাব। এ টাকা জনগণের। এসব টাকা ফেরত আনতে হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম