• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আমাদের অস্ত্রশস্ত্র-লাঠির দরকার নেই: আমীর খসরু

প্রকাশ:  ১১ অক্টোবর ২০২২, ১৫:৩০
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ওপর আস্থা রেখে বিএনপির রাজনীতি। আমাদের জনগণকে নিয়ে রাজনীতি। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। যেখানে লাখো জনতা রাস্তায় নামে, তারা তো একেকটা লাঠির চেয়ে শক্তিশালী। একজন বাংলাদেশের নাগরিক লাঠির চেয়ে শক্তিশালী, চাইনিজ রাইফলের চেয়ে শক্তিশালী। আমাদের কোনো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠির দরকার নেই। যাদের দুর্বলতা আছে তারা লাঠি নিয়ে নামে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ১২ অক্টোবর বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। জনগণ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিএনপির সমাবেশকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করার একটা প্রবণতা আওয়ামী লীগের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, ভাবনা আছে। আমরা তাদের বিভিন্ন বক্তব্য দেখছি, এই ফাঁদে বিএনপির কাউকে পা না দেওয়ার আহ্বান জানাই। আগামীকালের জনসভা লাখ লাখ মানুষের জনসমাগমের মাধ্যমে শেষ হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বাংলাদেশের মানুষের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া মানে বিএনপির শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ১২ অক্টোবরের বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে সব বিভাগের জনগণের মধ্যে জাগরণ উঠেছে, আমাদের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। সবাই যার যার এলাকায় মাঠে আছেন। সবাই কার্যক্রম চালিয়েছেন, এই গণসমাবেশ সফল করার জন্য। আমরা জনগণের বিশাল উদ্দীপনা আগ্রহ দেখে, চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাঠ রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ যে অবস্থায় গেছে, সে অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি পেতে চাইছে। যে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে মানুষ সংগ্রামে নেমেছে, সেটার প্রতিফলন আগামীকাল বুধবার পলোগ্রাউন্ডের মাঠে ঘটবে। দেশের মানুষ আগামীকালের পলোগ্রাউন্ড মাঠের সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। চট্টগ্রামবাসী মানুষের প্রত্যাশা আশা পূরণ করবে আগামীকাল।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণসমাবেশ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক নেই। যদি অন্য কারো মধ্যে আতঙ্ক থাকে তারা তা বলতে পারবে। যাদের মধ্যে আতঙ্ক আছে তারা চেষ্টা করবে, এই সভাকে অন্যদিকে ড্রাইভার্ট করার। যারা জনগণকে ভয় পায়, জনসমাবেশকে ভয় পায়, তারা অনেক কিছু করবে। প্রশাসন আশ্বস্ত করছে সমাবেশে তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখবে।

জনগণের জোয়ার যেখানে নামে, কোনো শক্তি সেখানে বাধা দিতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে বাঁধ ভেঙে গেছে জোয়ার চলছে, সেখানে কেউ বাধা দিতে পারবে না। সুতরাং ওসবের চিন্তা করার আমাদের দরকার নেই। আমরা আমাদের কাজ নিয়ে এগিয়ে যাবো। আগামীকাল গণসমাবেশে বাংলাদেশের অন্যতম একটি জনসভায় পরিণত হবে। মানুষের স্মৃতিতে থাকবে। বাংলাদেশের আন্দোলনের ইতিহাসে এই সমাবেশ মাইলফলক হিসেবে থাকবে।

বিএনপি এ নেতা বলেন, যারা নিজেরা কিছু করতে পারছে না তারা প্রতিরোধের কথা বলছে। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী হয়ে আছে, তারা প্রতিরোধের কথা বলে। কেউ সভা সমাবেশ করলে বিএনপি প্রতিরোধ করবে না। বিএনপি কাউকে বাধা দেবে না। সবার সাংবিধানিক অধিকার আছে সভা সমাবেশ করার। এর বাইরে কেউ কিছু করতে চাইলে সেটা অসাংবিধানিক হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই আমাদের। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্ন আসছে না। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নিরপেক্ষ সরকারকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন কমিশন দেশের নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন। সুতরাং যতক্ষণ সেই নির্বাচন কমিশনার না আসে, এই অবৈধ সরকার ও এই অবৈধ নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাই না।

সমাবেশে কোনো রূপরেখা থাকবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার নির্বাচনি সব ব্যবস্থার যে জঞ্জাল, সেটা পরিষ্কার করে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ হবে। যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে। এটা হচ্ছে মূল ম্যাসেজ।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

চট্টগ্রাম,আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী,বিএনপি,রাজনীতি,অস্ত্র,লাঠি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close