বিএনপি ও সমমনাদের গণ-অবস্থান বুধবার
যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে বুধবার (১১ জানুয়ারি) একযোগে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও জোট গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। আজকের গণ-অবস্থান তাদের দ্বিতীয় যুগপৎ কর্মসূচি।
সুত্র জানায়, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গণঅবস্থানে অংশ নেবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রধান অতিথি থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সম্পর্কিত খবর
একই সময়ে দেশের অন্য ৯টি সাংগঠনিক বিভাগে চলবে এই কর্মসূচি। বিএনপির সঙ্গে একই দিনে, একই সময়ে পৃথক পৃথক গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সমমনা দল ও জোটগুলো। আজকের কর্মসূচি থেকে ঘোষণা হবে যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় ধাপের কর্মসূচি। ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা নিয়ে চলমান যুগপৎ আন্দোলনকে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে রূপ দিতে চায় দল ও জোটগুলো।
সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অন্যান্য রাজবন্দিদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত গণমিছিল থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের মতো এই কর্মসূচিও জোরালোভাবে করতে চায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। কর্মসূচিতে বড় জমায়েত নিশ্চিত করতে দলগুলোর পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, বুধবারের গণ-অবস্থান কর্মসূচি থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের যুগপৎ কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। নতুন এ কর্মসূচি চিন্তার ক্ষেত্রে মূল বিষয় হবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদ করা। দুই দিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এছাড়া ২৫ জানুয়ারি বিএনপি দলীয়ভাবে একটি কর্মসূচি দিতে পারে বলে দলটির সূত্রে জানা গেছে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা বাতিল করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা (বাকশাল) প্রবর্তন করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে সেই দিনটিতে অতীতের মতো এবারো বিএনপি কর্মসূচি দিতে পারে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম