• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জনগণ এবার নিজেই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে : ফখরুল

প্রকাশ:  ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ওরা আমাদের সংস্কৃতি, চিন্তাবোধকে ধ্বংস করেছে। এই আওয়ামী লীগ আবারও তামাশার নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু না। জনগণ এবার নিজেই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। আর জনগণের সঙ্গে থেকে এ দানবীয় সরকারকে বিদায় করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশ শেষে আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিভাগীয় সদরে সমাবেশের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে ধ্বংস করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধের দাবিদার আওয়ামী লীগ। এই ২৫ জানুয়ারি তারা গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। নতুন প্রজন্ম এ ইতিহাস জানে না। তা তারা মুছে ফেলেছে। কেন গণতন্ত্র হত্যা করেছেন- আওয়ামী লীগের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। উল্টো বলে বিএনপি নাকি গণতন্ত্র নষ্ট করেছে।

তিনি বলেন, সেদিন আপনাদের একদলীয় বাকশাল কায়েমের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, ব্যারিস্টার মঈনুল সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পল্লীকবি জসিমউদ্দীন তার পদক প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ভিন্নমত সহ্য করে না। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মওলানা ভাসানীকে সন্ত্রাসী কায়দায় দল থেকে বের করে দিয়েছিল। এরা সন্ত্রাসী দল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকারের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা মনে করে এ দেশটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। জনগণকে তারা প্রজা মনে করে। জনগণও তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

সমাবেশে অংশ নিতে দুপুর ১২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা। ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসেন। তারা সড়কের ওপর ত্রিপল বিছিয়ে তার উপর বসেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়।

সমাবেশ ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতি এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close