• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন: হানিফ

প্রকাশ:  ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:১১
মেহেরপুর প্রতিনিধি

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাস পাল্টানোর চেষ্টা করা হলো, বিকৃত করা হলো। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হলো। বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করার চক্রান্ত হয়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একে একে মুক্তিযোদ্ধাদের অপদস্থ করলেন। অসংখ্য রাজাকার দিয়ে সরকার গঠন করে প্রমাণ করেছিলেন জিয়া কখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেনি।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মেহেরপুরের মুজিবনগর শেখ হাসিনা মঞ্চে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) এ দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন-অগ্রগতি মেনে নিতে পারে না। তাই তারা এখন নির্বাচন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। যে সংবিধানের জন্য ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি হয়েছে, যে সংবিধানের জন্য জীবনবাজি রেখে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, সেই সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা ১৪ বছরে বাংলাদেশকে চরম দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে এসেছি আমরা। আজ বাংলাদেশ সারাবিশ্বে প্রশংসিত। আমরা খাদ্য ও বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু এখনও তারা বিরুদ্ধাচারণ করে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাদের সক্ষমতা আছে তারা নির্বাচনে আসবেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রমাণ করবেন জনগণ কাকে চায় বা কাকে চায় না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়ে জনগণ কার পক্ষে আছে সেটা বলার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতা কারো দয়ায় আসেনি, কোনো গোলটেবিলে আলোচনায় বসে বা কোনো মেজরের হুইসেলে হয়নি। এই স্বাধীনতা অর্জনের বিশাল প্রেক্ষাপট আছে। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের পর বাঙালির ওপর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন বঙ্গবন্ধু।

হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমাদের জাতীয় নেতারা পাশ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেখানে ১০ এপ্রিল সরকার গঠন করলেন। সেই সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ এই ঐতিহাসিক আম্রকাননে হয়েছিলো। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, প্রয়াত নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে বাকিদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিলো। সেই সময়ে গার্ড অব অনার শেষে তাজউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, আমরা যা করেছি আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে করেছি। সেটাই ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার যাত্রা শুরু।

বিএনপিকে আন্দোলন আন্দোলন খেলা বন্ধ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জনসমর্থনই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। এদেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ। বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়। কিন্তু আমরা রাজাকার-আলবদরদের একাত্তরে পরাজিত করেছি, আবারো তাদের পরাজিত করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

মেহেরপুর,মাহবুবউল আলম হানিফ,আওয়ামী লীগ,এজেন্ট,জিয়াউর রহমান,পাকিস্তান,মুক্তিযোদ্ধা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close