• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দুঃখিত, একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি: আব্বাস

প্রকাশ:  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমি আবারো অনুরোধ জানাবো, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা চলে গেছে। আর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে যেন দেশনেত্রীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, একটা কথা আমি আবারো বলছি, এই অবস্থায় দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে আপনাদের কারো কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখবো না। আমি দুঃখিত, আমি একটু বোধহয় আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ৯০ এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এবং ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিরের আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, আমরা আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছি। আমরা বুঝতে পারিনি। যেদিন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেদিন থেকেই তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তার ছিলো তাকে হত্যা করার জন্যে। আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা বুঝেছি গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা বলা শুরু করেছি তিনি অসুস্থ হয়েছেন।

তিনি বলেন, আসলে ওনাকে গ্রেপ্তার করে অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হবে- এটাই ছিলো তাদের প্ল্যান। সেই প্ল্যান এখন কার্যকর করছে। আর না হলে কীভাবে অমানুষের মতো, অমানবিকতার মতো একটা কথা বলেন, খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই, আইনের জটিলতা আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে পৃথিবীর কোনো আইন-টাইন কাজে লাগে না। যখন জীবন বাঁচানোর প্রয়োজন হয়, তখন তার জন্য যে চিকিৎসা দরকার, সেটা করা দরকার। এটা হলো মানবিক আইন। আন্তর্জাতিক জেনেভা কনভেনশনের একটা আইন আছে- সেই আইনে উনি চিকিৎসা পেতে পারেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সরকার এই সুযোগটা নেবে। দেশনেত্রীকে বিদেশে তারা পাঠিয়েছেন- এই সুযোগটা তারা নিতে পারেন।

কারাবন্দি নেতাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অতীত উদাহরণ তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, গতকাল আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ‌‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওনাকে বিদেশে পাঠাতে হবে’। আজকে দেখলাম ওনারা (সরকার) বলছেন, আইনের জটিলতা আছে। আমি আজ স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জিয়াউর রহমানের সময়ে আ স ম আবদুর রবকে জার্মানি পাঠানো হয়েছিলো। বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে রাশেদ খান মেননকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন, তার লিভার টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিলো, তাকে সুস্থ করেছিলেন। আজ তিনি (মেনন) আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন।

তিনি বলেন, হাজী সেলিম ব্যাংকক গেলেন, চিকিৎসা করে ফেরত এলেন। তিনি বাইরে আছেন, এখন সহিসালামতে আছেন। ম খা আলমগীর (মহিউদ্দিন খান আলমগীর) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েও বাইরে ঘোরারাফেরা করছেন, মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। অথচ আমার নেত্রী কোনো অপরাধ করেননি, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

মির্জা আব্বাস,বিএনপি,খালেদা জিয়া
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close