• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইসরায়েলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে: ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আল আকসা মুসলমানের প্রথম কেবলা। আল আকসা মুসলমানদের পুণ্য ভূমি। এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহর। দীর্ঘ প্রায় আট দশক ধরে দখলদার ইসরায়েল গাজা দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলকে সহায়তা করছে পশ্চিমা গোষ্ঠী। পশ্চিমারা ইসরাইলকে দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া খ্যাত ইসরায়েলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।’

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটি।

সম্পর্কিত খবর

    ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়া, মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগ, মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ, ইউসুফ পিয়াস, আব্দুর রহমান, মাইদুল হাসান সিয়াম। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেএম শরীয়াতুল্লাহ ও মুফতি ফরিদুল ইসলাম।

    সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা নৃশংস, নির্মম ও চরম অমানবিক। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।

    ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সাহায্য দেওয়ার জন্য জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির।

    তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। তাই, অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

    মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য ওআইসি, জাতিসংঘ, শান্তিকামী বিশ্ববাসী ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার অর্জন ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে অতীতে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।

    সমাবেশ শেষে মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগর হয়ে নাইটাইঙ্গেল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close