• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সভাপতিসহ আহত ১৩

প্রকাশ:  ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ২২:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই দেশীয় অস্ত্রসহ তারা সংঘর্ষে জড়িতে পড়ে।

আজ বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজে এই ঘটনা ঘটে।

এই সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমান ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। মারধরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহাসহ আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হরতাল এবং অবরোধে 'সহিংসতার' প্রতিবাদে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে৷ বগুড়া ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরাজমান বিরোধকে কেন্দ্র করে সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমানের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এই সময় তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পতাকা স্ট্যান্ডে সমাবেশ শুরু করে। এই সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজারের অনুসারীরা রড এবং হকিস্টিক নিয়ে প্রথম তাদের ওপরে হামলা চালায়। এতে করে ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা রডের আঘাতে আহত হন। পরে সজীব সাহার অনুসারীরাও রড ও লাঠি নিয়ে পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সময় পুলিশের উপস্থিতিতে নানা রকম দেশীর অস্ত্র ও চাপাতি হাতে কয়েকজন যুবককে দেখা যায়। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সংঘর্ষের একপর্যায়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমানের কোমরের নিচে ছুরিকাঘাত করা হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী আহত হন। পরে আরো পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে।

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের সংহিসতার প্রতিবাদে এখানে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। ছাত্রলীগের কথিত একটি পক্ষ বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাকে ছুরিকাঘাতে চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে তাদের প্রতিহত করা হয়েছে৷ এরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গী৷

অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমান বলেন, এই কমিটি মেয়াদউত্তীর্ণ ও অযোগ্য। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে হামলার ঘটনা ঘটে।

বগুড়ার স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুপক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

পুলিশের সামনে অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এরকম কিছু চোখে পড়েনি।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. সবুর উদ্দিন বলেন, কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক একটি মিটিং চলার সময় হট্টগোলের শব্দে বাহিরে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। সেখানে পুলিশ ছিল। কোনো পক্ষের কাউকে আমরা চিনতে পারিনি।

ছাত্রলীগ,সংঘর্ষ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close