• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব, ইসিতে দেবর-ভাবির পাল্টাপাল্টি চিঠি

প্রকাশ:  ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির (জাপা) কর্তৃত্ব নিয়ে আবারো প্রকাশ্যে এলো দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব। শনিবার (১৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি চিঠি দেওয়ার পরই বিষয়টি আবার সবার সামনে এসেছে।

জাপার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই মূলত দলের কর্তৃত্ব নিয়ে লড়াই শুরু হয় ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ও স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদের মধ্যে। মাঝে এ লড়াই নিয়ে তেমন সাড়াশব্দ না হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো।

এদিন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচন করবে বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেন বেগম রওশন এরশাদ।

একই দিন সিইসিকে লেখা আরেকটি চিঠিতে জাতীয় পার্টির ভোটে আসার বিষয়টি জানানো হয়েছে। দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সই করা চিঠিটি ই-মেইলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে রওশন এরশাদ জানান, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারো চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা হবে শুধু নির্বাচনী জোট। নির্বাচনকালীন জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।

তিনি আরো জানান, এই নির্বচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’ কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

চিঠিতে চুন্নু উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত একটি ই-মেইল পেয়েছি। সেই ই-মেইলের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় পার্টির (নিবন্ধন নং-১২) পক্ষ থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে আরওপিও অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।

রওশদ এরশাদের মুখপাত্র কাজী মো. মানুনুর রশিদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছে, অপেক্ষা করি টাইম উইল সে। উনি (জিএম কাদের) নির্বাচন না করলে হারিয়ে যাবে। সম্প্রতি বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের বাসভবনে সভা হয়েছে। ওই ফোরামে সিদ্ধান্ত হয়েছে জাপা নির্বাচনে অংশগ্রহণ কবরে। যখনই উনি (জিএম কাদের) ফোন করেন তখনই বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে উনার কথা হয়। আমরা আহ্বান জানাব তিনিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ কবরেন। ৩০০ আসনেই আমরা প্রার্থী দিতে চাই। তবে জোট হলে সেভাবে সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির অন্য অংশ বলতে কিছুই নেই। গণঠতন্ত্র অনুযায়ী বেগম রওশন এরশাদ প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তিনি প্রার্থীর মনোনয়ন দেবেন। তিনিই মূলত জাতীয় পার্টি। গঠনতন্ত্রে বলা আছে, প্রধান পৃষ্ঠপোষক দলের সর্বময় ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব সংরক্ষণ করবেন।

তবে পাল্টাপাল্টি চিঠি এবং জাপায় কার কর্তৃত্ব আমলে নেবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটা কমিশন দেখবে। কারণ দুটি চিঠি এসেছে। কমিশন যেটা আমলে নেয়।

সাইনিং অথরিটি কে হওয়ার কথা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নরমালি দলের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব সাইনিং অথরিটি নরমালি হয়।

জিএম কাদের সাইনিং অথরিটি, তাহলে বিবেচনা কী হবে, এ প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটা কমিশনকে বলতে হবে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

চিঠি,দেবর-ভাবি,ইসি,দ্বন্দ্ব
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close