বনানীতে মুজিবুল হক চুন্ন
বিএনপি তাদের টেকনিকে চলে, জাপা তার নিজস্ব কৌশলে
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বলেছেন, বিএনপি তাদের টেকনিকে চলে, জাতীয় পার্টি তার নিজস্ব কৌশলে চলে। এজন্য আমরা ভোটে এসেছি।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
বিএনপি না এলেও ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে কি না- জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। ভোটার কেন্দ্রে আসতে পারলে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালো করতে পারবো। ২০০১ সালে আমার আসনে দেখেছি আওয়ামী লীগের চেয়ে অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোট ডাবল। বিএনপি কেন নেই (নির্বাচনে) সেটা তো আপনারা জানেনই। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ নিয়ে আমাদের দ্বন্দ্ব ছিলো। ইসি আমাদের জোরালোভাবে আশ্বস্ত করেছে, সরকার বলছে তারাও একটা পরিবেশ করার চেষ্টা করবে যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারেন। সাধারণ মানুষ যদি কেন্দ্রে আসার সুযোগ পান আমার মনে হয় আমরা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো করবো।
ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ইসি আমাদের সর্বোচ্চ আশ্বস্ত করেছে। আমাদের যে দাবি, যেন ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসতে পারেন, আসার যেন উৎসাহ পান, সেরকম একটা পরিবেশ ও ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারেন, তার পরিবেশ। ইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
তিনি বলেন, ইসিকে সহযোগিতা করার সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব সরকারের, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে ভালো পরিবেশ হবে। সেই ভালো পরিবেশে আশ্বস্ত হয়ে বা আশ্বাস পেয়ে আমরা নির্বাচনে কাজ শুরু করেছি। ১৮ তারিখের পর মাঠে যাবো, তখন বুঝবো অবস্থা কী।
মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো প্রার্থীর তো মাঠে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনের প্রাথমিক কাজগুলো সারছি। মনোনয়নপত্র দাখিল, অনেকের বাতিল হয়েছে। এসব জিনিস আমরা মনিটর করছি। আমরা নির্বাচনে পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝবো প্রতীক বরাদ্দের পর, এর আগে কোনো প্রার্থীর ভোট চাওয়া বা প্রচার করার কোনো সুযোগ নেই। ফিল্ডে গিয়ে যদি জনগণের সঙ্গে বসে কথা বলা না যায়, তাহলে বাস্তবভাবে নির্বাচনে কী অবস্থা সেটা এখন বলা মুশকিল। নির্বাচনের কী অবস্থা, মাঠের কী অবস্থা ১৮ তারিখের পরে হয়তো বলতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা ২৯৪ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। দাখিল করেছেন ২৮৮ জন, তার মধ্যে ৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আর ৫ বা ৬ জন নানান কারণে দাখিল করতে পারেননি। এখন ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। যাদের বাতিল হয়েছে তারা আপিলে যাচ্ছেন। ইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছে এবার নির্বাচন ভালো হবে, কঠিনভাবে করবে যেন নির্বাচন ভালো হয়। দেখি ওনারা কী করেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম