সংসদ নির্বাচনে থাকবে জাতীয় পার্টি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (ডিসেম্বর ১৩) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি তো আমাদের বলে গেছে তারা নির্বাচন করতে চায়। জোটে থাকতে চায়। তারা তো বলেনি যে তারা সরে যাবে। শঙ্কা, আশঙ্কা থাকতে পারে।

জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে ১৭-১৮ ডিসেম্বর পর্যরন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরাও এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে চাই। ১৭ তারিখে তো সব পরিস্কার হয়ে যাবো। ১৭, ১৮ তারিখ, সে পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করি। অস্বস্তির কোন কারণ নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে একটা নতুন অভিজ্ঞতা আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এসেছে, নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়ার, বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া। কাজেই গণতন্ত্রে এটা আরেকটা নতুন অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগতে হলে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা, গুজব, গুঞ্জন আছে। তবে আমরা সতর্ক আছি। আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না।

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে গেলে ২০১৪ সালের মতো বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের তো বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আমরা রাখি নাই। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে, অন্যান্য দলও আছে। এবার নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় কারো নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এলাকায় ৪ জন প্রতিদ্ধন্ধী, আমি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি আমার এলাকাতেও ৪ জন প্রতিদ্বন্ধী। আমাদের প্রতিদ্বন্ধী রয়েছে এবং সব এলাকাতে প্রতিদ্বন্ধী রয়েছে। কাজেই এ নিয়ে আমরা কোন দুশ্চিন্তা করছি না।

আশা প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন হবে। আমরা ক্রমেই গণতন্ত্রকে ত্রুটি মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এই নির্বাচনে গণতন্ত্র আরো পারফেক্ট হবে।

আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ উন্মুখ মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে তারা যতোই নাশকতা করুক মানুষ কিন্তু নির্বাচনমুখী হয়েছে। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী, মানুষ ভোট দিতে উন্মুখ। ভোটাররা আজকে গ্রামে-গঞ্জে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচন আমাদের সফল করতে হবে। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হবে এবং ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা আমাদের পার্টি, আমাদের সমমনা দলগুলো সবাই আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি।

যথাসময়ে নির্বাচন হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা সতর্ক আছি, গুজব, গুঞ্জন, সন্ত্রাস, সহিংসতা আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না। আমরা বিচলিত হবো না। আমরা জেনে শুনেই এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করবো।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রলম্বিত হবে, বিঘ্নিত হবে, এটা আমরা হতে দিবো না। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে নির্বাচন করার বিকল্প অন্য কিছু আমাদের মাথায় নাই। নির্বাচনের মাধ্যমেই আমাদের জবাব দিতে হবে।

নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার জবাব দিবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম