সংসদে জাতীয় ও স্থানীয় ইস্যুতে সরব মিসবাহ আবারও এমপি হতে চান
সম্পর্কিত খবর
ব্যক্তিগত জীবনে সাদামাটা হিসেবে পরিচিত পীর মিসবাহ বলেন, আমি এই শহরের আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছি। টানা দু'বার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই আমাকে ভোট দিয়েছে, আমিও একক কোনো দলের নয় সরকারের উন্নয়ন সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ফলে এলাকার মানুষের কষ্ট বুঝতে পারি, তাদের সেই কষ্ট লাগবে চেষ্টা করে গেছি। সুযোগ পেলে আগামীতেও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
২০০৮ সাল থেকে শুরু করে সুনামগঞ্জ সদর আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে। এই আসনে জাপার নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে, সাংগঠনিক অবস্থাও শক্তিশালী। পাশাপাশি পীর পরিবারের একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তার বড় ভাই দেশের বরেণ্য সাংবাদিক প্রয়াত পীর হাবিব, যার অসংখ্য লেখনীতে জল ও জোছনার শহর সুনামগঞ্জ ও এলাকার মানুষের প্রতি ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। এলাকার মানুষও পীর হাবিবকে ভালোবাসতেন যার প্রমাণ মিলে তার মৃত্যুর পর একাধিক শোকসভা আয়োজন ও মানুষের মুখে মুখে তার কর্মময় জীবনের বর্ণনা।
গত দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ এই আসন টি জাপাকে ছেড়ে দিলেও এবার তার আসনে নৌকার প্রার্থী সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক। ভোটের রাজনীতিতে তিনি খুব একটা পরিচিত না হলেও তরুণদের তার প্রতি আগ্রহ আছে।
সংসদ সদস্য পীর মিসবাহ বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৪২ বছরে যা হয়নি বিগত ১০ বছরে তা করে দিয়েছি। কী কী কাজ করেছি তা এলাকার সাধারণ মানুষ ও সচেতন নাগরিকরা সাক্ষী। আমি মানুষের পাশে ছিলাম, মানুষও আমাকে আপন করে নিয়েছে। বিগত দিনে দায়িত্ব পালনে আমি সততার সাথে কাজ করেছি। আমার কোনো ডান হাত বাম হাত ছিল না, সাধারণ মানুষ সরাসরি আমার সাথে তাদের প্রয়োজনের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমি কিংবা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, আমরা নিজেদের ক্ষমতাধর নয় জনগণের অংশ মনে করেছি।