মাদারীপুরের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিল্লাল খান (৩০) কে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।

সোমবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। হত্যাকান্ডের ঘটনায় সোমবার কালকিনি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার। গ্রেফতারকৃত বিল্লাল ভাটাবালী গ্রামের মোকলেস খার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো বলেন, কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ভাটাবালী গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ও এই নির্বাচনকালীন সময়টাকে তারা বেছে নিয়ে এসকান্দার খাকে হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।

এসকান্দার খা হত্যার ঘটনার পর থেকেই জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চালায়। এরই প্রেক্ষিতে গাজীপুর থেকে মামলার প্রধান আসামি বিল্লালকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত বিল্লাল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ঐ এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকিরসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।

নিহত এসকান্দার খা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা: তাহমিনা বেগমের সমর্থক ছিলেন। আর আসামি পক্ষ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। উল্লেখ গত শনিবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকান্দার খা।

এ সময় মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর লোকজন হঠাৎ হামলা চালায়। এ সময় এসকেন্দার খাকে এলোপাথারি কুপিয়ে আহত করে। তার পায়ের রগও কেটে ফেলা হয়। বাঁধা দিতে এলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

এ সময় স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসকেন্দার খা সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐদিনই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান।