দলীয় কারো আয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে ব্যবস্থা: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলীয় কারো আয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই মুহূর্তে ব্যবস্থা না নিতে পারলেও নির্বাচনের পরে ঠিকই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাজনীতি ও সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে মরচে ধরে গেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসমর্থন থাকলে সরকার উৎখাত করতে কোনো দলকে চোরাগুপ্তা হামলা করতে হতো না।

বিভিন্ন আসনে সহিংসতার ঘটনা বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি স্বাভাবিক। কোনো প্রার্থীই নির্বাচন বয়কট করবে না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছরে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, আমরা এখনকার বার্নিং ইস্যু দ্রব্যমূল্য, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি আছে। পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বছরে ২০ লাখ। এটা আমাদের একটা লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, শিল্পের প্রসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, জঙ্গিবাদ রোধ করা, সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা ও প্রসার ঘটানোকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার তার বক্তব্যে যে সৎ সাহস দেখিয়েছেন, ভুল হলে ভুল থেকে শিক্ষা নেব এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রধানমন্ত্রী এতো উন্নয়নের পরও এটা বলছেন। আমার কোনো ভুল নেই, দেশ পরিচালনায় সবকিছু সঠিক করেছি এমন বাগাড়ম্বর কথা উনি পেশ করেননি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম