• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মীয় অধিকারও হরণ করেছে সরকার: রিজভী

প্রকাশ:  ১৭ মার্চ ২০২৪, ০১:১২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকারও হরণ করছে ডামি সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইফতার পার্টি করা যাবে না। কেন করা যাবে না? আপনারা যে যুগ যুগ ধরে করে আসছেন, হঠাৎ এটা মনে পড়ল কেন যে, ইফতার পার্টি করা যাবে না? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়েছেস ইফতার পার্টি করা যাবে না। শুধু এটা করেই তারা থেমে থাকেনি, ছাত্রলীগকে দিয়ে আক্রমণ করাচ্ছে। এটা রমজান মাস, সিয়াম সাধনার মাস, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি কাজ করে। এখানে একটা উৎসবের বিষয়ও আছে। আর সেখানেও হামলা করে রক্তাক্ত করেছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সহ-শ্রম সম্পাদক হুমায়ূন ইসলামের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের নির্দেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাত্রলীগের দ্বারা রক্তাক্ত কেন করা হচ্ছে, তা আমরা বুঝতে পারি। ৭ জানুয়ারি ‘আমরা আর মামুরা’ মিলে ‘আমি আর ডামির’ যে নির্বাচন করেছেন, যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, সেই প্রভুদের খুশি করার জন্য ইফতার পার্টি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আপনি। প্রহসনের নির্বাচনে ভারত পাশে ছিল বলেই অন্য রাষ্ট্রগুলো কিছু করতে পারেনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ যে প্রচণ্ড বাড়ছে, এটা তারা টের পাচ্ছেন। এ কারণে ছোট কর্মসূচিতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব তৈরি করেছেন। আন্দোলন দমানো আর মিছিল দমানোর জন্য সরকারি যত সরঞ্জাম আছে, সব জিনিস নিয়ে হাজির হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাজারের অবস্থা শোচনীয়, দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ এখন দিশেহারা। সরকারও জানে, মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ তাদের বিরুদ্ধে। মানুষের ভেতরে দ্রোহের আগুন জ্বলছে, এটা তারা ভালো করেই বুঝতে পারছে। প্রত্যেকটি জায়গায় সরকারি সংগঠনের নেতারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। মন্ত্রীদের ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বাড়ি-গাড়ি-সম্পদ রয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন নেতা এখন শত কোটি টাকার মালিক। জেলা ছাত্রলীগের নেতারাও হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। তা আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। ওদের তো খেজুর কিনতে অসুবিধা হয় না, ওরা ফাইভ স্টারের খাবার নিয়ে বাড়িতে বসে খাচ্ছে।

বাজার সিন্ডিকেটে আওয়ামী লীগের লোক সরাসরি জড়িত বলেই সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী পরিবার বা তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ছাড়া কোনো মেধাবীর চাকরি হচ্ছে না। দেশের প্রতিটি কারাগার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বন্দিশালা।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির চেয়ারপার্সনের বিশেষ সরকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিএনপি,রুহুল কবির রিজভী,সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close