'সেক্স ডলে'র প্রেমে উন্মাদ জাপানি, স্বর্গেও 'ডল' চান যে কারণে
সংসার সংগ্রামে হার। স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে গিয়েছেন প্রথম কন্যা সন্তান লাভের পরই। এরপর দীর্ঘ টানাপড়েন। জীবনে সব হারিয়ে, জাপানের সাইকো ৪৫ বছর বয়সী মাসায়ুকি আবার সব ফিরে পেয়েছেন 'সেক্স ডলে'র মধ্যে। একদা স্ত্রীর সঙ্গে যে বিছানাতে করেছেন মিঠে খুনসুটি, এখন সেই শয্যাতেই 'সেক্স ডলে'র সঙ্গে 'আদম-ইভ' জীবন কাটান সাইকো মাসায়ুকি। নিজেই চুল আঁচড়ে দেন 'সেক্স ডল' মায়ুর। এমনকি নিজের মেয়ের সঙ্গেই 'সেক্স ডল' মায়ুর জামাকাপড় পর্যন্ত অদলবদল করেন। আর এভাবেই 'সেক্স ডল'কেই মানবী করে নিয়েছেন মাসায়ুকি।
সম্পর্কিত খবর
সেক্স ডল মায়ুর প্রতি নিজের প্রেমাবেগের কথা বলতে গিয়ে মাসায়ুকি জানান, ও আমাকে কোনও দিন ঠকিয়ে যাবে না। আমার যত সমস্যাই থাকুক, আমার হাত ছেড়ে কখনই যাবে না ও। আমার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করবে। আমার বিরুদ্ধে ওর কোনও নালিশও থাকবে না কোনও দিন। আমার মৃত্যুর পর ওকে নিয়েই আমি চিতায় উঠব, কারণ আমি ওকে আমার সঙ্গী করে স্বর্গে নিয়ে যাবো। আমার হৃদ কম্পনে প্রতিটি নাম ওর, আমি ওকে ভালোবাসি, আজীবন ভালোবাসব।
'পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন
এর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদা
পাগলী, তোমার সঙ্গে ঢেউ খেলতে যাব দু’কদম', মাসায়ুকির প্রেম এমনই।তবে এই প্রেমকে একেবারেই স্বাভাবিক চোখে দেখছে না জাপানি গবেষকরা। 'ম্যাজিক চার্ম' হারিয়েই এই ব্যধিতে ভুগছে জাপানের বেশির ভাগ পুরুষ। আর সেই কারণেই জন্মহারের ক্ষেত্রে একটা অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হচ্ছে জাপানে, যা জাপানের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। বিয়ে ভাঙার পর মানসিক অবসাদ, এই কারণেই জাপানের বেশিরভাগ পুরুষ সেক্স ডলের দিকে ঝুঁকছেন, এমনই দাবি 'দ্য সান' পত্রিকার।
জাপানে নাকি প্রতিবছর গড়ে ২০০০ সেক্স ডল বিক্রি হয়, যার প্রত্যেকটির মূল্য ৪,৬০০ ইয়েন। ১৯৭০ সাল থেকেই জাপানে ডল তৈরির ইন্ডাস্ট্রিতে সেক্স ডল তৈরির চাহিদা বাড়তে থাকে, এখন সেটা গগনচুম্বী।
জাপানে ডল তৈরি ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিদেও সুচিয়া 'দ্য সান'কে জানিয়েছেন, "এই সেক্স ডল দেখতে হুবুহু একজন মানুষের মত। এদের ত্বক পর্যন্ত মানুষের মত। পুতুলের সঙ্গে কমিউনিকেশন করতে পারবে, বেশিরভাগ মানুষ এটা ভেবেই এই সেক্স ডল কেনেন"।
পিবিডি/ ইকা