‘মজুরি ৬ হাজার ৩৬০ টাকার বেশি হলে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হবে’
দেশের প্রধান তৈরি পোশাক খাতের গার্মেন্টস শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৬ হাজার ৩৬০ টাকার বেশি হলে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পোশক রফতানিকারণ প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তাছাড়ও তিনি শ্রমিকদের মজুরিও ন্যূনতম মজুরি ৬ হাজার ৩৬০ টাকা ঘোষণা দিয়েছেন।
রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর যৌথ উদ্যোগে এক জরুরি সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাহির থেকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন মজুরি বাড়ানোর জন্য শ্রমিকদের দিয়ে অযথা আন্দোলন করাচ্ছে। কিন্তু এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তারা জানে না যে অতিরিক্ত মজুরি বৃদ্ধি করা হলে বেশির ভাগ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে নতুন করে অনেক বেকারত্ব সৃষ্টি হবে। তাই অযথা আন্দোলন না করে দেশের গার্মেন্টস শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করুন।
বিকেএমই সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের যারা শ্রমিক আছেন তারা আমাদের পরিবারের সদস্যের মতো। তাই তাদের যতটুকু চাহিদা সেই অনুপাতে মজুরি নির্ধারণ করবো।
তিনি বলেন, আমরা যে মালামাল রফতানি করছি বিভিন্ন কারণে সেই পণ্যের দাম কমে গেছে। এতে করে গার্মেন্টস শিল্প অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই অযথা বেতন বাড়ানোর আন্দোলন করবেন না।
বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্তমানে যে অবস্থায় আছি তা খুব ভয়াবহ। তাই আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দিবেন না। তাহলে অতিশীঘ্রই এই গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি এস এ মান্নান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক কামাল এফবিসিসিআই এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ওএফ