দ্বিতীয় দিনেও কর্মবিরতি বিআরটিসির সাহারা ডিপোতে
দ্বিতীয় দিনেও কর্মবিরতি পালন করছে বিআরটিসির জোয়ার সাহারা ডিপোর চালক ও শ্রমিকরা। নয় মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ফটক বন্ধ রেখে আগের দিনের মত বুধবারও ৯ (জানুয়ারি) এ ডিপো থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। চালক ও শ্রমিকরা ডিপোর সামনে অবস্থান নিয়ে বেতন নিয়মিত করার পাশাপাশি বিআরটিসির রাষ্ট্রীয়করণসহ নানা দাবিতে শ্লোগান দিচ্ছেন।
বকেয়া পরিশোধের দাবিতে মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে জোয়ার সাহারা ডিপোর প্রধান ফটকে তালা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন চালক ও শ্রমিকরা। বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া গতকাল বিকালে ডিপোতে গিয়ে তিন মাসের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর বুধবার সকালে ডিপোতে এসে আবার বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
সম্পর্কিত খবর
চালকরা বলেন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান বেতন পরিশোধের কোনো কথা বলেন নাই। তিনি আবারও তিন মাসের সময় চান। এর আগেও এইরকম তিনবার সময় নিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই। তিনি যদি কমপক্ষে তিন মাসের বেতনও দিয়ে বলতেন, তাহলে একটা কথা ছিল। শুধু আশ্বাস দিলে তো আর সমস্যার সমাধান হবে না। বেতন পরিশোধ না করলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়ার দাবি, কিছু টাকা বকেয়া থাকলেও গত সাত-আট মাস ধরে নিয়মিত বেতন হচ্ছে। তারপরও সাত-আটটা লোক সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ধর্মঘট করছে।
শ্রমিক-কর্মচারীরা এই কর্মবিরতি চালিয়ে গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বকেয়া বেতনের দাবিতে গতবছর জুলাই মাসেও একবার আন্দোলনে নেমেছিলেন জোয়ার সাহারা ডিপোর বাস চালকরা। তখন তাদের ১০ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। সারাদেশে বিআরটিসির ২২টি ডিপো আছে। এর মধ্যে ঢাকায় ডিপো আছে ছয়টি। এসব ডিপোতে প্রায় তিন হাজার চালক, টেকনিশিয়ান, অফিস সহকারী এবং নিরাপত্তারক্ষী কাজ করেন। সরকারি বেতন স্কেলে তারা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
জোয়ার সাহারা ডিপো থেকে টঙ্গী-মতিঝিল, আবদুল্লাহপুর-মতিঝিল, কুড়িল বিশ্বরোড-পাঁচদোনা রুটের একতলা ও দ্বিতল বাস চলাচল করে। এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস হিসেবেও এ ডিপোর বাস ব্যবহৃত হয়। একতলা, দ্বিতল এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিলিয়ে ১২০টি সচল বাস রয়েছে বিআরটিসির এই ডিপোতে। এসব যানবাহনের আয় থেকেই কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে লোকসানের কারণে প্রায় ৫০০ কর্মীর বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।
পিডিবি/জিএম