• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দশ উইকেটের প্রথম জয়, সিরিজ বাংলাদেশের

প্রকাশ:  ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৮:২২ | আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৯:২৪
স্পোর্টস ডেস্ক

প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিনা উইকেটে ১০২ রান তাড়া করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজটাও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল। এদিকে এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা এক ওয়ানডে ম্যাচে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছে।

বাংলাদেশ রেকর্ডগড়া ৩৪৯ রান করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেটি পরিত্যক্ত হয়েছিলো। নাহলে হয়তো ৩-০ ব্যবধানে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তিটাও লেখা থাকতো টাইগারদের নামের পাশে।

ওয়ানডেতে এর আগে উইকেটের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ছিলো ৯ উইকেটের। পাঁচবার প্রতিপক্ষকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। এই পাঁচ জয়ের দু’টি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্য ৩টি কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।তবে ছিলো না ১০ উইকেটের জয়।

অন্যদিকে এর আগে এক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পেসাররা প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বেশি ৮টি উইকেট নিতে পেরেছে। এমন ঘটনা অবশ্য অনেক আছে। এর আগে ১২ বার ওয়ানডের এক ম্যাচে প্রতিপক্ষের ৮ উইকেট নিতে পেরেছে পেসাররা। আর ৭ উইকেট নিতে পেরেছে ২১ বার।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের ১০ উইকেটের ৫টি নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ৩ উইকেট আর ইবাদত হোসেন ২টি। পেসারদের এমন দাপুটে বোলিংয়ে ২৮.১ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড।

১০২ রানের মামুলী লক্ষ্যে শুরু থেকেই আইরিশদের ওপর চেপে খেলেছেন দুই ওপেনার। বিশেষ করে শুরুতে তামিম ইকবাল ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তার আগ্রাসনে ৬.৫ ওভারে পূরণ হয়েছে দলীয় ফিফটি।

লিটন শুরুতে ধীরে-সুস্থে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে আগ্রাসনের মাত্রা বাড়িয়েছেন। তাতে ১৩তম ওভারে তার ফিফটি পূরণের সঙ্গে দলের স্কোরও হয়ে যায় আইরিশদের সমান। পরের ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক তামিম।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক বালবির্নি। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদের তোপের মুখে পড়ে আইরিশরা। ২৬ রানেই তারা হারায় ৪টি উইকেট। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ। তার সঙ্গে উইকেট শিকারে মাতেন পেসার তাসকিন আহমেদও। তিনি ফিরিয়েছেন অধিনায়ক বালবির্নিকে।

ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার একটু সতর্ক শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে হাসান মাহমুদের ব্যাটের কোনা লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন স্টিফেন দোহানি। ২১ বল খেলে ৮ রান করেছিলেন তিনি। দলীয় রান ছিলো তখন ১২।

এরপর ইনিংসের ৯ম ওভারে আরেক ওপেনার পল স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউর শিকার করেন হাসান মাহমুদ। দলীয় রান ছিল তখন ২২। একই ওভারের ৪র্থ বলে এই ২২ রানের মাথায় আইরিশদের বসিয়ে টপ অর্ডার হ্যারি টেকটরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন হাসান। ২২ রানেই সাজঘরে ফিরে যান ৩ জন ব্যাটার।

এরই মধ্যে তাসকিনের বলে একটি এবং হাসান মাহমুদের বলে আরো একটি ক্যাচ মিস হয়। তবে ইনিংসের ১০ম ওভারে অ্যান্ডি বালবির্নি ক্যাটের কানায় লাগিয়ে বল তুলে দেন প্রথম স্লিপে। সেখানে নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যাচ ধরেন বালবির্নির।

২৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর কুর্তিস ক্যাম্ফার আর লরকান টাকার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৫৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর এবাদতের জোড়া শিকার।

দুই ওভার আগেই তিনটি বাউন্ডারি হজম করেছিলেন এবাদত হোসেন। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান। ইনিংসের ১৯তম ওভারে সেট ব্যাটার লরকান টাকার (৩১ বলে ২৮) এবাদতের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে (০) দাঁড়ানোর আগেই বোল্ড করে দেন এবাদত।

এরপর এক ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই শিকার করেন তাসকিনও। ম্যাকব্রিনকে (১) মিডউইকেটে বানান নাসুমের ক্যাচ, মার্ক এডায়ারকে করেন বোল্ড (০)।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ক্রিকেট,বাংলাদেশ,সিরিজ,জয়,উইকেট,আয়ারল্যান্ড
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close