রিংকুর পাঁচ ছয়ের কাছে হেরে গেলো রশিদের হ্যাটট্রিক

ইনিংসের ১৭তম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে হ্যাটট্রিক করা রশিদ খানের চোখে মুখে বিস্ময়। তাকে বিস্ময় উপহার দিয়েছেন ইনিংসের শেষ পাঁচ বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতানো রিংকু সিং। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে গুজরাট টাইটান্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

রোববার (৯ এপ্রিল) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান তোলে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট। জবাবে ব্যাটে নেমে রশিদ খানের হ্যাটট্রিকের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছিলো কলকাতা। এরপর রিংকুর ২১ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে নিতিশ রানার দল।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিলো গুজরাট। শুভমান গিল ৩১ বলে ৩৮, সাই সুদর্শন ৩৮ বলে খেলেন ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষদিকে বিজয় শঙ্কর ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৬৩ রানের টর্নেডো এক ইনিংস।

কেকেআরের অফস্পিনার সুনিল নারিন ৩৩ রানে নেন ৩টি উইকেট।

২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দাপট বজায় রেখে খেলতে থাকে কেকেআর। একটা সময় মনেই হচ্ছিলো, হেসে-খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে দলটি। তবে সেই আলোয় আঁধার নামিয়ে আনেন রশিদ খান। নিজের ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে তুলে নেন এবারের আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক।

১৭তম ওভারে ১৫৫ রানে ৭ উইকেট হারানো কলকাতার শেষ ৮ বলে দরকার ছিলো ৩৯ রান। তবে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটারদের পক্ষে এই সমীকরণ মেলানো অনেকটা কষ্টসাধ্যই মনে হচ্ছিলো। কিন্তু ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে আইরিশ পেসার জশ লিটলের ওভারে ছক্কা ও চার মেরে সমীকরণ কমান এই ব্যাটার।

২০ ওভারে স্ট্রাইক পেয়েই রীতিমতো তাণ্ডব চালান রিংকু। ওভারে দ্বিতীয় বলে ফুল টস পেয়ে লং অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকান রিংকু। পরের দুই বলও ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ ও লং অফ দিয়ে সীমানা পাড় করেন এই ব্যাটার। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে থাকা পঞ্চম বলেরও একই পরিণতি।

সমীকরণ এসে দাঁড়ায় শেষ বলে ৪ রান। এবার অফ স্ট্যাম্পের বাইরে শর্ট ডেলিভারি করেন দয়াল। তবে তীরে এসে তরী ডুবাতে দেননি কলকাতার এই ব্যাটার। শেষ বলেও লং অন দিয়ে জয়সূচক ছক্কা হাঁকান তিনি। এর মধ্য দিয়ে পাঁচে নেমে ২১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম