নাঈমের সমস্যা মনে: সাকিব
ওপেনিং পজিশনে বাংলাদেশের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই পজিশনে এক তামিম ছাড়া কেউই লম্বা রেসের ঘোড়া হতে পারেননি। বাংলাদেশের ওপেনার নিয়ে দীর্ঘ এই হতাশায় সবশেষ সংযোজন মোহাম্মদ নাঈম। চলমান এশিয়া কাপের সব ম্যাচে শুরুটা ভালো হলেও ইনিংস বড় করতে পারছেন না। নাঈমের ইনিংস লম্বা না হওয়ার পেছনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান স্কিলের ঘাটতি দেখছেন না। তার মতে, মানসিক কারণেই নাঈম পারছেন না।
ফুট ওয়ার্কের ঘাটতির কারণে নাঈম সহজ বলগুলোকে কঠিন বানিয়ে ফেলছেন। শনিবার লঙ্কানদের বিপক্ষে শানাকার সাদামাটা বাউন্সেও কুপোকাত হতে হয়েছে তাকে। অথচ শুরুটা করেছিলেন ভালোই। কিন্তু স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় প্রচুর ডট বল দিয়েছেন। তাতে নিজের ওপর কেবল চাপই বাড়িয়েছেন। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতে যখনই আক্রমণে গেছেন, তখনই আউট হয়ে ফিরেছেন। চলতি এশিয়া কাপে দলের চার ম্যাচের সবকটিতেই এমনটা দেখা গেছে। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৬ ও ২৮ রান। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ রানের পর গতকাল (শনিবার) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১ বলে ৪৬ বলে করলেন ২১ রান। স্ট্রাইকরেট মাত্র ৪৫.৬৫!
সম্পর্কিত খবর
উইকেটে থিতু হওয়ার পর যখন দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করার কথা, তখনই আউট হয়ে যাচ্ছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান বলেই ফেললেন, ‘চার ম্যাচেই ও (নাঈম) শুরু করেছে। কিন্তু এমন নয় যে (উইকেটে) গিয়েই আউট হয়ে গেছে।’
এরপরই সাকিব বলেছেন নাঈমের এই ব্যর্থতা মানসিক, ‘এটা ওর স্কিলের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। একজন ব্যাটার যখন ২০ রান ঠিকঠাক মতো করতে পারে, তার ৮০–১০০ রান করারও সামর্থ্য আছে।’
শুধু নাঈম নন, দলের সব ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়েই হতাশা ফুটে উঠেছে সাকিবের কণ্ঠে, ‘নির্দিষ্ট কোনও আউট নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। যখন এই ধরনের ট্রিকি উইকেটে রান তাড়া করছিলাম। ওপর থেকে চারজন যদি ভালো জুটি গড়তে পারতাম, ড্রেসিংরুম অনেক শান্ত হয়ে যেত। যখনই ৪ উইকেট পড়ে গেছে ৮৩ রানে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন ছিল। যদিও একটা জুটি হয়েছে। কিন্তু ওটা আরও বড় হওয়া লাগতো। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে হতো মুশফিক ভাই আর হৃদয়কে। যেটা আসলে হয়নি।’