• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে যে ১০ ক্লাবকে

প্রকাশ:  ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:৩৪
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বর্তমান সময়ে ফুটবল ক্লাবগুলোর ব্র্যান্ড মূল্য অনেক বেশি। ক্লাবগুলোর ভক্ত-সমর্থকও আছেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে। যাঁরা শুধু নিজেদের পছন্দের ক্লাবের খেলাই দেখেন না, বরং তাদের প্রতিপক্ষ নিয়েও জানার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি নিয়মিত খবর রাখার বিষয়টি তো আছেই। আর ক্লাব সম্পর্কে নিজেদের কৌতূহল মেটাতে ও খোঁজখবর নিতে তাঁরা শরণাপন্ন হয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের।

ক্লাবকে ঘিরে সমর্থক-বলয় তৈরি হয়, তা নয়। অনেক সময় তারকা খেলোয়াড়েরাও একটি ক্লাবের প্রতি ভক্তদের টেনে নিয়ে আসেন। ২০২৩ সালে যেমন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কারণে ব্যাপক হারে ইন্টার মায়ামি ও আল নাসরের খোঁজ বেড়েছে। যে কারণে বছরজুড়ে গুগলে সবচেয়ে বেশি সন্ধান করা সেরা ১০ ক্লাবের তালিকায় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ক্লাব দুটিও।

বড় ট্রফি অর্জনের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। বিশ্বব্যাপী কোটি অনুসারী আছে ক্লাবটির। লম্বা সময় ধরে মহাতারকাদের পদভারে সমৃদ্ধ হয়েছে ক্লাবটি। এখনো প্রায় নিয়মিত সাফল্য পেয়ে চলেছে ক্লাবটি। ২০২৩ সালে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ না জিতলেও রিয়ালের পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ ছিল না। কোপা দেল রে, উয়েফা সুপার কাপের মতো শিরোপা জিতেছে তারা। যা ২০২৩ সালে ক্লাবটির প্রতি সমর্থকদের আগ্রহ ধরে রাখতে সহায়তা করেছে।

এর মধ্যে নতুন মৌসুমে জুড বেলিংহামের মতো তারকার আগমন ক্লাব নিয়ে সমর্থকদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর মাঠের খেলাতেও রিয়াল দারুণ নৈপুণ্য দেখাচ্ছে। লিগে শীর্ষে থেকেই বছর শেষ করেছে তারা। এসব কারণে গুগলে সবচেয়ে বেশি সন্ধান করা ক্লাবও এখন রিয়াল। মাসে গড়ে ৪ কোটি ৪৫ লাখ বার খোঁজা হয়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটিকে।

এরিক টেন হাগের প্রথম মৌসুমে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গত মৌসুমে পয়েন্ট তালিকায় তিনে থেকে শেষ করে তারা। নতুন মৌসুমেও দারুণ সম্ভাবনা দেখিয়েছিল ক্লাবটি। কিন্তু শেষ দিকে এসেছে বাজেভাবে পথ হারিয়েছে ‘রেড ডেভিল’রা। যা তাদের প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার ৭ নামিয়ে দিয়েছে। তবে পারফরম্যান্সে উত্থান-পতন থাকলেও ইউনাইটেডের ভক্ত-সমর্থকসংখ্যা ঈর্ষণীয়। গুগলে ২০২৩ সালে ক্লাবটিকে মাসে গড়ে খোঁজা হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ বার।

তালিকায় ৩ নম্বরে থাকা নামটি অবশ্য অনেককে অবাক করতে পারে। চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে খেলা তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাই পেছনে ফেলেছে ইউরোপের অনেক পরাশক্তিকে। তুরস্কের শীর্ষ লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের মাসে গড়ে ৩ কোটি ২৪ লাখ বার খোঁজা হয়েছে। মূলত মাঝের সাময়িক ব্যর্থতা কাটিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে দলটিকে নিয়ে বিশেষ আগ্রহ ছিল সমর্থকদের। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেডকে হারিয়েছে তারা, রুখে দেয় (৩-৩) নিজেদের মাঠেও। এ নিয়ে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছিল ক্লাবটি।

২০২৩ সালের সবচেয়ে সফল ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। এ বছর ট্রেবলসহ সব মিলিয়ে শিরোপা জিতেছে পাঁচটি। এমন সাফল্যের কারণে পেপ গার্দিওলার ক্লাবটিকে নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও ছিল বেশ। পাশাপাশি সাফল্যের কারণেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে সিটির ভক্ত-সমর্থক। যা এখন তাদের গুগলে সবচেয়ে বেশি সন্ধান করা ক্লাবের ৪ নম্বরে জায়গা করে দিয়েছে। এ বছর মাসে গড়ে ৩ কোটি ২৪ লাখ বার খোঁজা হয়েছে সিটিকে।

চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য পেতে নিজেদের উজাড় দিয়েছে পিএসজি। একের পর এক তারকা এনে দল সাজিয়েছে তারা। এই ক্লাবের হয়ে কদিন আগে খেলেছেন বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা লিওনেল মেসি। ছিলেন নেইমারের মতো বড় নামও। তাই সাফল্য না পেলেও তারকাদের পায়ে পায়ে হাজির হয়েছিলেন সমর্থকেরা। ছিল নানা কৌতূহলও। তবে গত মৌসুমে অনেক সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে ক্লাবটিকে। বিশেষ করে মেসি-নেইমারের বিদায় নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল ক্লাবটি। এই দুজন চলে গেলেও পিএসজিতে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। মূলত ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই কারণে আগ্রহ ছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে।

আর্সেনাল প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলো অন্যতম। যদিও লম্বা সময় ধরে বড় কোনো ট্রফি নেই তাদের। তবে সাম্প্রতিক সময় মিকেল আরতেতার হাত ধরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্লাবটি। গত মৌসুমে লম্বা সময় শীর্ষে থেকে শিরোপা রেসেও ছিল তারা। কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে আশ্চর্য পতনে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে শিরোপা হাতছাড়া করে আর্সেনাল। শিরোপা না জিতলেও নবজাগরণের কারণে আর্সেনাল নিয়ে আগ্রহও বেড়েছে বেশ। যার প্রভাব পড়েছে গুগলে খোঁজার তালিকাতেও।

ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস ২০২৩ সালে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’তে ঐতিহাসিক এক মৌসুম পার করেছে। এবারসহ টানা দুই মৌসুমে লিগ শিরোপা জিতেছে তারা। এ বছর ট্রফির দিক থেকে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে সমৃদ্ধ ক্লাবেও পরিণত হয়েছে পালমেইরাস। যে কারণে ক্লাবটি বেশ আলোচনায় ছিল। গুগলে ক্লাবটিকে খোঁজা হয়েছে মাসে গড়ে ২ কোটি ৩৩ লাখ বার।

তালিকার সেরা দশে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবটি কেন জায়গা পেয়েছে, তা হয়তো আলাদা করে না বললেও চলে। মূলত আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির কারণেই বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল মায়ামি। তবে মায়ামিকে ঘিরে মাতামাতিটা শুরু হয়েছে জুনে মেসির ঘোষণা আসার পর। তবে বছরের শুরুতে যদি মেসি মায়ামিতে যেত, তবে এ তালিকায় মায়ামির নাম হয়তো আরও ওপরের দিকে থাকত।

মেসির কারণে যেমন ইন্টার মায়ামি আলোচনায় ছিল, তেমন সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরকে আলোচনায় রেখেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রোনালদোর কারণেই মূলত ফুটবলের নতুন এক শক্তিশালী লিগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে প্রো লিগ। শুধু ক্লাবে যোগ দিয়েই নয়, মাঠের পারফরম্যান্সেও এখন আলো ছড়াচ্ছেন রোনালদো। ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন ‘সিআর সেভেন।’ রোনালদোময় ক্লাবটিকে গুগলে খোঁজা হয়েছে মাসে গড়ে দুই কোটি বার।

গত ২০ বছরে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সফল দল চেলসি। তবে সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাদের। গত মৌসুমে ১২ নম্বরে থেকে লিগ শেষ করা চেলসি এবার মৌসুমের মাঝামাঝিতে আছে ১০ নম্বরে। তবে অতীতের সাফল্য ও তারকাদের উপস্থিতির কারণে ক্লাবটিকে ঘিরে এখনো আগ্রহ আছে ফুটবলপ্রেমীদের। যা তাদের গুগলে খোঁজার তালিকায় ১০ নম্বরে জায়গা করে দিয়েছে।

গুগল,পিএসজি,ম্যানচেস্টার,সিটিম্যানচেস্টার,ইউনাইটেড,রিয়াল মাদ্রিদ,আর্সেনাল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close