• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মেসি, হলান্ড না এমবাপ্পে—কে হচ্ছেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’

প্রকাশ:  ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হলান্ড—ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারে সেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের তিন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। আজ রাতে এই তিনজনের যেকোনো একজনের হাতে উঠবে বর্ষসেরার ট্রফি। পুরস্কারের জন্য ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

শুরুতে অবশ্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল দ্বারা নির্বাচিত ১২ জনকে রেখে ঘোষণা করা হয়েছিল মনোনীতদের তালিকা। তাঁদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিনজনের তালিকা করা হয়েছে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটে। যেখান থেকে আজ একজনের হাতে উঠবে পুরস্কারের ট্রফিটি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিবেচিত সময়ে এই তিনজনের কার কেমন পারফরম্যান্স।

গত মৌসুমটা আর্লিং হলান্ডের জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। সিটিতে তাঁর যাত্রাটা ছিল অনেকটা লাতিন ‘ভিনি ভিসি ভিডি’ (এলাম, দেখলাম এবং জয় করলাম) প্রবাদটার মতো। আক্ষরিক অর্থেই সিটিতে হলান্ডের প্রথম মৌসুমের সারসংক্ষেপ ছিল এমনই—এলাম, গোল করলাম এবং ট্রফি জিতলাম। সিটির হয়ে প্রথম মৌসুমেই স্বপ্নের ট্রেবল জিতেছেন হলান্ড। দলকে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিততে দলকে সহায়তা করেছেন এই নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার।

পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হওয়া সময়টায় প্রতিযোগিতাগুলোয় ৩৩ ম্যাচে হলান্ড গোল করেছেন ২৮টি। মৌসুমজুড়ে গতি, শক্তি এবং ফিনিশিংয়ের কোনো জবাবই যেন ছিল না প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন হলান্ড। আর ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলিতে হলান্ড এর মধ্যে যুক্ত করেছেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার। অনেকের মতে, আজ রাতে পুরস্কারটির সবচেয়ে বড় দাবিদার হলান্ডই। বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও ফ্রান্সকে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতাতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। দারুণ খেলেও দলকে রানার্সআপ হতে দেখার হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লেও, সেখানেই আটকে থাকেননি এই ফরাসি তারকা। পিএসজির হয়ে নতুন করে শুরু করেন এমবাপ্পে। এমনকি পিএসজিতে চলমান সংকট ভুলেও নিজের মনোযোগটা পারফরম্যান্সেই ধরে রাখতে পেরেছিলেন এমবাপ্পে।

ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করেছেন। গতি, ড্রিবলিং আর শক্তিতে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। আর পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় নেওয়া সময়ে ২০ লিগ ম্যাচে তিনি একাই করেছিলেন ১৭ গোল। যেখানে টানা ৬ ম্যাচে ৯ গোল করার দারুণ কীর্তিও আছে। এর মধ্যে এমবাপ্পে জিতেছেন লিগ ‘আঁ’র বর্ষসেরা পুরস্কার এবং সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কারও।

২০২২ সালের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের কারণে গতবারের বর্ষসেরা পুরস্কারটি উঠেছিল লিওনেল মেসির হাতে। সেবার ঘোষণার আগেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল মেসির পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি। এবার অবশ্য মেসির পুরস্কার জেতা আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করার সুযোগ নেই। এমনকি অনেকে তাঁর সংক্ষিপ্ত তিনে জায়গা পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তবে পারফরম্যান্স, পরিসংখ্যান ও প্রভাবে মেসিও পিছিয়ে থাকবেন না বাকিদের চেয়ে।

এমবাপ্পের মতো পিএসজির হয়ে লিগ শিরোপা জিতেছেন মেসিও। তবে মেসি সবচেয়ে বড় প্রভাব রেখেছেন মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) গিয়ে। সেখানে গিয়ে বদলে দিয়েছেন দেশটির ফুটবলকে। এমনকি তাঁর হাত ধরে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ) জিতেছেন ইন্টার মায়ামি। এই সময়ে জাতীয় দলের জার্সিতেও মেসির পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো।

আর পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে মেসি ৩২ ম্যাচে করেছেন ২৪ গোল। অর্থাৎ পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলেও বাকিদের চেয়ে মেসিকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। এর মধ্যে জিতেছেন ব্যালন ডি’অরের ট্রফিও। মেসি অবশ্য নিজে ব্যক্তিগত এসব পুরস্কার মোহ কেটে যাওয়ার কথা বলেছেন। এরপরও শেষবেলায় আরেকটি ব্যক্তিগত অর্জনের ট্রফি মেসির ক্যারিয়ারে কেকের ওপর একটি চেরি ফুল হয়েই থাকবে।

ফিফা,আর্লিং হলান্ড,মেসি,ফিফা দ্য বেস্ট,কিলিয়ান এমবাপ্পে
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close