• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই মাকে খুন করে জমির

প্রকাশ:  ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:১০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার শান্তিনগর গ্রামে বৃদ্ধা জোহারা খাতুনকে (৭৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন নয়, নিজের ছেলেই বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ছেলে জমির খাঁ। ৩৬ বছর ধরে চলা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটানো ঘটিয়েছে।

নিহত জোহরা খাতুন ওই এলাকার প্রয়াত রশিদ খাঁর স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা জামিরের ঘর থেকে উদ্ধারের পর সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে আটক করে।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) আটক জামির খাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল ইসলামের আদালতে সোপর্দ করা হলে জামির হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।

এর আগে রোববার দুপুরে এই হত্যাকাণ্ডের পর জামির খাঁর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী আত্মীয়রা বৃদ্ধা জোহরা খাতুনকে খুন করেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিপক্ষের তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় রাতে পুলিশ জামির খাঁকে আটক করে।

স্থানীয়রা জানান, প্রয়াত রশিদ খাঁর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আত্মীয় বজলু খাঁর পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি আদালতের রায় রশিদ খাঁর পক্ষে গেলে রশিদ খাঁর পরিবারের লোকজন জমিটি দখলে নিয়ে সীমানা প্রাচীর দেয়। গতকাল (রোববার) দুপুরে ওই জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তারা রশিদ খাঁর বাড়িতে হামলা করে।

ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বৃদ্ধার ছেলে জাহাঙ্গীর খাঁ অভিযোগ করে বলেন, জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ ফজল খাঁ, ইয়াছিন খাঁসহ আরো কয়েকজন হামলা করে এবং বাড়িতে ঢুকে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

জামির খাঁ পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, জমি নিয়ে বিরোধে তারা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে গেছেন। আদালতের রায় পেলেও তারা ভোগ দখল করতে পারছিলেন না। গতকাল রোববার প্রতিপক্ষ জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে বাড়িতে হামলা করলে তাদের ফাঁসানোর জন্য হুট করে রাগের মাথায় মাকে হত্যা করেন।

এই ঘটনায় জামিরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহ হলে নিহতের ছেলে জামিরকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। সোমবার দুপুরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য জামিরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়।


পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস

খুন,জমির,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close