• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আপন মেয়েকে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন

প্রকাশ:  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯:৪৪
সিলেট প্রতিনিধি

নিজের দেড় বছর বয়সী মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন নাজমিন আক্তার নামের এক নারী।

সিলেট নগরের শাহপরাণ এলাকায় বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। নিহত শিশুর নাম সাবিহা আক্তার। নাজমিনের স্বামী সাব্বির আহমদকেও আটক করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর

    এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, পারিবাহিক কলহের জেরে শিশু সাবিহাকে গলা টিপে তার মা হত্যা করেছেন।

    এলাকাবাসী জানায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোলাপগঞ্জ এলাকার নাজমিনের সঙ্গে দক্ষিণ সুরমার বদলি এলাকার সাব্বির আহমদের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের পর থেকে তাদের বসবাস শাহপরান এলাকায়। নাজমিন একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তার স্বামী কাতার প্রবাসী। এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল নাজমিনের। সেই সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে।

    সাবিহাকে বালিশচাপা দেয়ার সময় সে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। তারা গুরুতর অসুস্থ মেয়টিকে হাসপাতালে নেয়। এ সময় মা নাজমিনও হাসপাতালে আসেন। পরে চিকিৎসক সাবিহাকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্তানের মৃত্যুর পর হাসপাতাল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন নাজনিন। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

    জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে নাজমিন বলেছেন, বিয়ের পর আমার স্বামী বিদেশ চলে যায়। এরপর চার বছর পর দেশে ফেরে। কিন্তু বিদেশ থাকা অবস্থায় তিনি আমার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেননি। দেশে ফিরে আমাকে অনেক বুঝিয়ে আবার সংসার শুরু করেন তিনি। তখন আমি গর্ভবতী হই। আমাকে গর্ভবতী রেখেই তিনি আবার কাতার চলে যান। বিদেশে গিয়ে আমার স্বামী অভিযোগ করেন আমার গর্ভের সন্তান তার নয়।

    পুলিশকে নাজনীন আরও বলেন, আমার স্বামী ১৫ দিন আগে দেশে এসেছেন। কিন্তু একবারও মেয়েকে দেখতে আসেননি। বরং আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছেন। এই দুঃখে আমি আমার মেয়েকে হত্যা করেছি। আমি কাউকে ফাঁসাব না। আমি আমার মেয়েকে খুন করছি। আমার ফাঁসি হোক।

    পূর্বপশ্চিম- এনই

    আপন মেয়েকে খুন

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close