• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

১০ টাকার গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে সাভারে এক একটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ ও ফলন কম হওয়ায় দাম এতো বেশি।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ফুলের দোকানে ঘুরে এমনটিই দেখা গেছে।

সাভারের বাড়ইপাড়া এলাকার মৌসুমি ফুল বিক্রেতা মাহবুব বলেন, আমি ঈদ, ভালোবাসা দিবসসহ বিশেষ দিনগুলোতে ফুল কিনে বিক্রি করি। আগে প্রতি পিস গোলাপ কিনতাম ৩ থেকে ৫ টাকার মধ্যে। এবার সেই গোলাপ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনে এনেছি। বিক্রি করছি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। গোলাপের দাম বেশি হওয়ায় এবার তেমন ক্রেতাও নেই। দিন শেষে ফুল যদি থেকে যায় তাহলে লোকসানে বিক্রি করতে হবে।

সাভারের ফুল বিক্রেতা আলম বলেন, আমাদের সাভারেই প্রচুর গোলাপ চাষ হয়। কিন্তু এবার গোলাপের বাগানে ফুল নেই। রোগে পচন ধরে ফুল নষ্ট হয়েছে। ফুলের তেমন আমদানিও নেই। বাগানেই পাইকাররা ফুল কিনছেন ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। আমাদের গোলাপ কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। বিক্রি তো ১০০ টাকার নিচে করলে লোকসান হবে। কারণ সব ফুল তো বিক্রি হবে না। অবিক্রিত ফুল নষ্ট হয়ে যাবে।

পাইকারি ফুল ক্রেতা আউয়াল বলেন, আমরা বাগানে বাগানে ঘুরে অল্প সংখ্যক ফুল পেয়েছি। প্রতিটি গোলাপ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। আসলে ফুলের ফলন খুব একটা হয়নি। আমরা প্রতি বছর যে বাগান থেকে ১০-১২ হাজার ফুল কিনতাম এবার সেই বাগান থেকে মাত্র ২৫০ পিস কিনলাম।

ফুল ক্রেতা জোবায়ের আল হাসান বলেন, একটি গোলাপের দাম চাচ্ছে ১২০ টাকা। দামাদামি করে ১০০ টাকা করে দুটি গোলাপ কিনলাম। ১০ টাকার গোলাপ ১০০ টাকা শুনে, আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি। ৫০-৬০ টাকার মধ্যে হলেও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকত।

ফুল কিনতে আসা গার্মেন্টসকর্মী আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, স্ত্রীর জন্য গোলাপ কিনতে এসেছিলাম। ১০টি গোলাপের টাকা দিয়ে ১টি গোলাপ কিনলাম। এখন বাড়ি ফিরে যাওয়ারও রিকশা ভাড়া নেই। তাই হেঁটে হেঁটে ফিরছি।

এদিকে ফুলের দাম এতো বেশি হলে মানুষ প্লাস্টিক বা আর্টিফিশিয়াল ফুলের দিকে ঝুঁকবে বলে মনে করে সচেতন নাগরিকরা। তাই ফুলের বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা।


পূর্বপশ্চিম/এসকে

গোলাপ,ফুল

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close