• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কলেজছাত্রীকে বাসায় ডেকে গণধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষকসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশ:  ৩১ মার্চ ২০২২, ২০:১৯ | আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ২০:২৬
অনলাইন ডেস্ক

শেরপুরে নিজ কলেজের শিক্ষার্থীকে (১৬) বাসায় ডেকে এনে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জোবায়ের হোসাইন (২৮) নামে এক শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। জোবায়ের শেরপুর নকলা উপজেলার চৌধুরী ছবরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক।

বুধবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাতে শেরপুর শহরের গৌরপুর এলাকায় ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন শেরপুর শহরের গৌরিপুর মহল্লার লুৎফর রহমান ও আবু রাহাত। শিক্ষক জোবায়ের জেলার শ্রীবরর্দী উপজেলার রাণি শিমুল ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুরুজ্জামানের ছেলে। জোবায়ের এক সন্তানের জনক।

অভিযুক্তদের মধ্যে ওই শিক্ষক ও লুৎফর রহমানকে রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অপরজন পলাতক। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ওই শিক্ষক ভিকটিমকে নকলা থেকে শেরপুর শহরের গৌরিপুরর এলাকার ভাড়া বাসায় ডেকে আনেন। তারপর নানা প্রলোভনে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি বাসার মালিক লুৎফর রহমান বুঝতে পেরে বন্ধু আবু রাহাতকে খবর দেন। এবার লুৎফর ও রাহাত ছাত্রীর ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে বাধ্য করে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। রাত ১০টার দিকে ভিকটিমকে মোটরসাইকেলযোগে নকলা পর্যন্ত এগিয়ে দেন ওই শিক্ষক। মেয়েটি বাসায় পৌঁছে ঘটনা স্বজনদের জানান। স্বজনদের সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষার্থী ৯৯৯ এ ফোন করলে রাতেই কলেজ শিক্ষককে গ্রেফতার করে নকলা থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে শেরপুর থেকে বাসার মালিক লুৎফরকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। লুৎফর স্থানীয় আব্দুর রহিমের ছেলে। শিক্ষার্থীর বাবা-মা চিকিৎসাজনিত কারণে বর্তমানে ভারতের চেন্নাই রয়েছেন।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মেদ বলেন, অভিযুক্তদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর অভিযুক্ত রাহাতকে পুলিশ খুঁজছে।

পূর্বপশ্চিম/এনএন

শিক্ষকস,শিক্ষক,গণধর্ষণ,কলেজছাত্রী

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close