২২ বছর পর নিখোঁজ তরুণী যেভাবে ফিরে পেল ভাই
নিখোঁজের ২২ বছর পর ফারজানা আক্তার নামে এক তরুণী ফিরে পেলেন তাঁর ভাইকে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টার দিকে র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী ক্যাম্পের (কোম্পানি কমান্ডার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ওই নারীকে তাঁর ভাইয়ের হাতে তুলে দেন।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে একই দিন রাত ১১টার দিকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল নোয়াখালীর সুধারাম থানার সোনাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ হওয়া ফারজানা আক্তারকে উদ্ধার করে।
সোমবার দিবাগত গভীর রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো.শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিকটিম ফারজানা আক্তার (ছদ্মনাম) গত ২২ বছর পূর্বে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর ভিকটিমের পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে। ভিকটিমের পরিবার আশপাশের বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে জানতে পারে যে, তাঁর বোন মারা গেছে অথবা তাকে পাচার করা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ভিকটিমের ভাই মো. শহীদ উল্লাহ সুধারাম মডেল থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন। এরপর ভিকটিমের ভাই রোববার ৪ এপ্রিল সাধারাণ ডাইরিসহ র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর ক্যাম্পে হাজির হয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীতে ভিকটিমের আত্নীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিম ফারজানা আক্তারকে সুধারাম থানার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
ভিকটিমের ভাষ্যমতে জানা যায়, ভিকটিম তার ঠিকানা বলতে না পারায় বাড়িতে ফিরে আসতে পারেননি। ঘটনাক্রমে এক ব্যক্তির মাধ্যমে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে এ যাবৎ রাজশাহী, চট্রগ্রাম ও নোয়াখালীতে ছিলেন। উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও তার বড় ভাই শহীদ উল্লাহকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় পাঠানো হয়।
পূর্বপশ্চিম/জিইউ/এনএন