• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ:  ২০ জুলাই ২০২২, ১৩:৫৪
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত শাহজাহান

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মাথায় আঘাতের পর পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে ফাতেমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী শাহজাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষনা করা হয়।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আদালতে স্ত্রী হত্যায় শাহজাহানের দোষ প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই রামগতি উপজেলার চর আলগী গ্রামের মৃত আকবর আলীর মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে শাহজাহানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল কিনে শাহজাহানদের দেওয়া হয়।

বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পর ফাতেমাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। যৌতুক না পেয়ে বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতনও করা হতো। একই বছর ২১ আগস্ট শাহজাহানকে নিয়ে ফাতেমা তার বড়বোন রাশেদা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরদিন সকালে তারা একসঙ্গে ওই বাড়ির পুকুর গোসল করতে যায়। এরপর থেকে দু'জনের কেউই ঘরে ফিরে না আসায় রাশেদা তাদের খুঁজতে বের হয়।

একপর্যায়ে পুকুরের ভাসমান অবস্থায় ফাতেমার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একইদিন ফাতেমার ভাই মহিউদ্দিন বাদী হয়ে রামগতি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রথমে ফাতেমার মাথায় আঘাত করা হয়। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল হাই আদালতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/জামাল/এআই

স্ত্রী হত্যা,রায় ঘোষনা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close