সেই প্রেমকান্ত এবার হাইকোর্টে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে মারধর ও হেনস্তার শিকার হওয়া ভারতের তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্ত এবার পরামর্শের জন্য আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছেন।
(১১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ও অ্যাডভোকেট নিশাত ফারজানা নিপার চেম্বারে আইনি পরামর্শ করেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
পরে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, প্রেমকান্ত আমাদের কাছে আইনি পরামর্শের জন্য এসেছিলেন। আমরা মনে করি তিনি বিদেশি নাগরিক হলেও বাংলাদেশে তার আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্তের সাথে বরগুনার তালতলীর এক তরুণীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমিকাকে একনজর দেখার জন্য তিনি তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশে আসেন। গত ২৪ জুলাই বরিশালের একটি রেস্টুরেন্টে দুইজনের দেখা হয়। এরপর থেকে ওই তরুণী তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকেই তিনি বরিশাল ও বরগুনার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতে থাকেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতেও থাকতে হয় তাকে। সেখান থেকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ নিরাপত্তা নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সাথে কথা বলে প্রেমকান্তকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমকান্ত ঢাকায় না গিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে বরিশাল থেকে সড়ক পথে বরগুনা যান। পরে শুক্রবার বিকেলে তিনি তালতলী উপজেলায় প্রেমিকার খোঁজে ঘুরতে থাকেন।
এদিকে প্রেমিকাকে খুঁজতে তার গ্রামের বাড়ি গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার অভিযোগে ওই দিন রাতে তরুণীর বাবা তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্তর নামে তালতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর গত শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে পৌর বাস টার্মিনাল থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে প্রেমকান্তকে উঠিয়ে দেয় বরগুনা পুলিশ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই