প্রবাসীকে কোপানোর ঘটনায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
লক্ষ্মীপুরে দুই প্রবাসীকে কোপানোর ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় নুর উদ্দিন নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আমির হোসেন আমু ও যুগ্ম-আহবায়ক আমিন উল্যাহ সবুজ ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।
সম্পর্কিত খবর
কমিটিতে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক রাসেলকে আহবায়ক, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান ভূঁইয়া ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক রিংকুকে সদস্য করা হয়।
অভিযুক্ত নুর উদ্দিন লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও লাহারকান্দি গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে।
সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগ জানায়, নুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ভূক্তভোগী কাতার প্রবাসী আফসার উদ্দিন আসিফ বলেন, নুরউদ্দিন আমার মোটরসাইকেলটি কয়েকদিনের জন্য চেয়েছিল। কিন্তু মোটরসাইকেল না দেওয়ায় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এতে ৩০ জুলাই দুপুরে চাঁদখালি থেকে আমার মামাতো ভাই সৌদি প্রবাসী জসিম উদ্দিনহ লক্ষ্মীপুর শহরের দিকে আসছিলাম। পথিমধ্যে আমাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে পেছন থেকে নুর উদ্দিন ধারালো দামা দিয়ে আমাদর এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে আমরা পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
বক্তব্য জানতে যুবলীগ নেতা নুর উদ্দিনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো. তফছির বলেন, ঘটনাটি কি কারণে হয়েছে তা জানা নেই। তবে দীর্ঘদিন নুর উদ্দিনের নাম্বার বন্ধ আছে। ঘটনার সময় আহত জসিম তার (নুর উদ্দিন) স্ত্রীর চাচাতো ভাই।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক রাসেল বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। ঘটনাস্থল গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে যথাসময়ে প্রতিবেদন উপজেলা কমিটিকে জমা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই দুপুরে দাওয়াত শেষে লক্ষ্মীপুর থেকে ফেরার পথে জকসিন-যুগীরহাট সড়কে আবদুল জব্বার মার্কেটের সামনে পৌঁছলে আসিফ ও জসিমের মোটরসাইকেল থামাতে বলে নুর উদ্দিন। হঠাৎ পেছন থেকে দৌঁড়ে এসে নুর উদ্দিন ধারালো দামা দিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে তারা পালিয়ে জীবন বাঁচায়। ধারালো ধামার আঘাতে দু’জনেরই ডান হাতে জখম হয়। পরে এ ঘটনায় ৬ আগস্ট জসিমের বাবা বাদী হয়ে নুরউদ্দিনসহ ৮ জনের নামে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আসিফ ও জসিম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/বাবলু/এআই
