• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মা গলায় ফাঁস দিলেন ছেলের সামনেই

প্রকাশ:  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

শেরপুরে নিজের ১২ বছর বয়সী ছেলের সামনে রাগ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে সাথে আত্মহত্যা করেছেন নাসরিন আক্তার (৩২)। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

আজ শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শেরপুরের গৃদানারায়নপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নাসরিন আক্তার মৃত পরিবহন শ্রমিক বাবুর স্ত্রী। তিনি গৃদানারায়নপুরে এক বাড়িতে দুই বছর যাবত দুই ছেলে নাফিজ (১২) ও নাবিলকে (৮) নিয়ে ভাড়া থাকতেন।

নাসরিনের বড় ছেলে নাফিজ জানান, প্রতিদিন আমি বাইরে খেলতে গেলে মা বকাবকি করতো। আজও মা বকেছেন। আজ মা আমার সাথে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলতে থাকেন- ‘আমি ফাঁসি দিয়ে মরে যাবো’। তখন আমি দরজা ধাক্কা দেই। মায়ের কাছে মাফ চাই। মাকে বলেছি, ‘আর কোনো দিন বাইরে যাবো না’। দরজা না খোলায় এক পর্যায়ে জানালার পাশে যাই। এসময় দেখি মা তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলার চেষ্টা করছেন। তখন আমি আবারও মায়ের কাছে মাফ চাই। সেসময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন।

প্রতিবেশীরা জানান, নাফিজের চিৎকারে তারা তাদের ঘরের সামনে এসে পরিস্থিতি টের পেয়ে ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন। ততক্ষণে নাসরিনের শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তিনি ফ্যানের সাথে ঝুলে মারা যান।

পরে শেরপুর সদর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নাসরিনের শ্বশুর বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর এবং তার বাবার বাড়ি শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামে। ২০২০ সালে তার স্বামী বাবু ঢাকা-শেরপুর রোডে চলাচলরত শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের বাসে চাকুরি করা অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। সেসময় তারা অন্য মহল্লায় থাকতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি গৃদানারাযনপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। নাসরিনের বড় ছেলে নাফিস স্থানীয় নবারুন পাবলিক স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে এবং নাবিল ইকরা মাদ্রাসায় নার্সারিতে পড়ছেন।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসির আহমেদ বাদল জানায়, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই

শেরপুর,আত্মহত্যা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close