২ যুগ আগে চেক জালিয়াতির দায়ে ৩ জনের দণ্ড
কুষ্টিয়াতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৗশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দুইটি চেক জালিয়াতি করে সরকারের সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে করা মামলায় তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
সম্পর্কিত খবর
এ ঘটনায় এলজিইডি কুষ্টিয়া অফিসের পিয়ন আব্দুল মতিনকে (৬৫) ছয় বছর, মসজিদের ইমাম ও কারী মো. আবুল কাশেমকে (৭০) চার বছর সশ্রম কারাভোগসহ পৃথকভাবে ১৮ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া হিসাব রক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) সাফায়েত হোসেনকে (৭৫) দুই বছরের সাজার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কোনো এক সময় এলজিইডির দাপ্তরিক হিসাব সোনালী ব্যাংক চলতি হিসাব নম্বর ৪২৪৬ এর দুটি চেকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে যথাক্রমে ৭ লাখ ৮০ হাজার এবং অপরটিতে ৯ লাখ ৭২ হাজার ৭০২ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রথমে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদী হয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় সরকারি অর্থ আত্মসাতের দায়ে মামলা করেন। মামলাটি পরবর্তীতে দুদকে স্থানান্তরিত হয়। তবে এই মামলাটি হতে রেহায় পেতে একাধিক আসামি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় বিভিন্ন সময় মামলাটি নিষ্পত্তিতে বাধাগ্রস্ত হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের উপ সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ দাস মামলাটি পুনঃতদন্ত শেষ করে চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ মিঠু বলেন, বিবাদীরা বিভিন্ন সময় উচ্চ আদালতে যাওয়ার কারণে মামলাটির কার্যক্রম এতোদিন ঝুলে ছিলো। এ মামলায় যাদের দণ্ড হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।