কক্ষে আটকে কিশোরীকে ‘গণধর্ষণ’, আটক ৫
ঢাকার সাভারে এক কিশোরীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এসময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচজনকে আটক করেছে।
রোববার (২ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, ‘আমার বোন এখানে ভাড়া বাসায় থেকে একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করে। গত বৃহস্পতিবার আমি আশুলিয়ায় বোনের বাসায় বেড়াতে আসি। ওই দিন রাতে বাসার পাশে একটি দোকানে মোবাইলে টাকা তুলতে গেলে কৌশলে ইমন নামে এক ছেলে আমার ফোন নম্বর জেনে নেয়। শনিবার রাতে সে আমাকে ফোন করে ফুসলিয়ে বাসার সামনে ডেকে নেয়। এর আগেও বোনের বাসায় এসে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিলো। পরে ইমন পাশেই তার বন্ধু আশরাফুলের বাড়িতে আমাকে নিয়ে যায়। এসময় পাশের বাসার একটা শিশু মেয়েও আমার সঙ্গে ছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই বাসায় যাওয়ার পরই ইমনসহ তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। তারা আমার সঙ্গে থাকা শিশুটিকে অপর কক্ষে আটকে রেখে মারধর করে। এক পর্যায়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায় তারা। আমাদের চিৎকারে বাসার এক ভাড়াটিয়া তালা ভেঙ্গে আমাদের উদ্ধার করে।’
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ‘আমি বাসাবাড়ির ময়লা ফেলার কাজ করি। অনেক রাত পর্যন্ত আমাকে বাইরে থাকতে হয়। আজ মাইয়া আমারে বলছে, ওরে ঘরে আটকাইয়া মারধর করছে।’
ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী এক গার্মেন্টস শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাচ্চাটা আমার বাসার গেটের সামনে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে বিকেলে খেলা করছিলো। তখন দেখি সে হাত ধরে কানতেছে। জিজ্ঞেস করার পর তাকে একজন ঘরে আটকে মারধর করেছে বলে জানায়। তার সাথে থাকা আরেকটা মেয়েকেও আটকে রেখে নির্যাতনের কথা জানায় শিশুটি। পরে ৯৯৯ কল করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। রাতেই পুলিশ বাড়ির মালিক আশরাফুল ও ইমনসহ পাঁচ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।’
এসআই রাজু মন্ডল বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরী একাধিকবার ধর্ষণের কথা আমাদের বলেছে। তবে শিশুটি রাতে তাকে মারধরের কথা বললেও আজ অন্যরকম বলছে। ভুক্তভোগীদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোরে প্রস্তুতি চলছে।’
আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে রাতেই পাঁচ জনকে থানায় নিয়ে এসেছি। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’