ফতুল্লায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিয়ের প্রলোভনে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৯) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে হৃদয় (৩১) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) তাকে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বাদী হয়ে হৃদয়কে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার হৃদয় ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম মাসদাইর এলাকার জজ মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন মৃত মোকলেসুর রহমানের ছেলে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীনি সপরিবারে মাসদাইর এলাকায় বসবাস করেন এবং নারায়নগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কলেজে যাতায়াতের সময় গ্রেপ্তার হৃদয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেতেন এবং বিবাদীর বন্ধু মহলে স্ত্রী বলে পরিচয় করিয়ে দিতেন হৃদয়। তাছাড়া হৃদয় প্রায় সময়ই বাদীনির বাসায় যাতায়াত করতেন। পাঁচ মাস আগে বাদীনির বাসায় পরিবারের সদস্যদের কেউ না থাকায় হৃদয় যান। তখন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীনির সঙ্গে শরীরিক সম্পর্ক করেন তিনি।

পরবর্তীতে হৃদয়কে বিয়ের জন্য বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করেন। সর্বশেষ চলতি মাসের ৭ তারিখ রাত ১১টার দিকে ফোন করে জানান বাদীনিকে বিয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। পরে দিবাগত রাত ১টার দিকে হৃদয় বাদীনির বাসায় এসে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল খান জানান, অভিযুক্ত হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম