গোপালগঞ্জে নারী পাচারকারীসহ আটক ৬
গোপালগঞ্জ শহর থেকে একজন নারী পাচারকারীসহ ছয়জনকে আটক করেছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এ সময় একটি স্মার্টফোন, নগদ ১২ হাজার টাকা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহরের জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার জয়বাংলা মোড় এলাকার সেকেন মিয়ার ছেলে সোনা মিয়া (৩৫), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোলাবাড়িয়া গ্রামের মো. বিলায়েত সরদারের ছেলে সাহাম সরদার (৩০), দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিনাইল গ্রামের গোলাম হোসেনের মেয়ে গুলশানা আরা (৩০), একই জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কল্যাণী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে মল্লিকা বেগম (৩২), চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে মুন্নি খাতুন (২৭) ও একই গ্রামের তৈয়েব আলী শেখের মেয়ে জেসমিন বেগম (৩০)।
পুলিশ জানায়, চার নারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট করার জন্য মাথাপিছু তিন হাজার টাকা করে মোট ১২ হাজার টাকায় সাহাম সরদারের সঙ্গে চুক্তি করেন সোনা মিয়া। সাহাম সরদার গোপালগঞ্জ শহরের জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের চুক্তিভিত্তিক অফিস সহাকারী। সোনা মিয়া ওই চার নারীকে ফিঙ্গার প্রিন্ট করে দেওয়ার কথা বলে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ নিয়ে আসেন।
ফিঙ্গার প্রিন্ট শেষ হলে টাকা দেওয়ার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন, নগদ ১২ হাজার টাকা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
ওসি নাসির উদ্দিন জানান, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলার নারীদের সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন সোনা মিয়া। তিনি ঢাকার বনানীতে অবস্থিত সেভওয়ে এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার নারীদের বিদেশে পাঠানোর জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।