• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

অভয়াশ্রম তেঁতুলিয়ায় চলছে অবাধে ইলিশ শিকার

প্রকাশ:  ২৩ অক্টোবর ২০২২, ২১:১২
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ইলিশ প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চললেও ইলিশের অভয়াশ্রম তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে অবাধে মা ইলিশ শিকার। এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা মেতে উঠেছে ইলিশ নিধনে। এতে রক্ষক না হয়ে সহযোগির ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের বগী খালের মাথা থেকে উত্তরে ধুলিয়ার শেষপ্রান্ত পর্যন্ত তেতুঁলিয়া নদীর ৪০ কিলোমিটার এলাকায় ছোট ছোট নৌকা ও মাঝারি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অবাধে মা ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। মাছ ধরায় কৌশলগত কারণে নদীতে নামানো হয় অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের।

কালাইয়ার চর কালাইয়া, শৌলা ও বগী, নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা, কচুয়া, ধানদী, নিমদী, তাঁতেরকাঠি, কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর, ভরিপাশা, ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া লঞ্চঘাট, মঠবাড়িয়া ও কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা ও বাহেরচর এলাকার নদী পাড়ে প্রকাশ্য বিক্রি হচ্ছে এসব ইলিশ। ১ কেজি ওজনের মা ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫শ’ থেকে ২৮শ’ টাকা দরে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নৌ পুলিশের অভিযানে ব্যবহৃত স্পিডবোটের দুই চালকসহ কয়েক দালালের মাধ্যমে নৌকা প্রতি ১০ হাজার টাকা দিলেই মিলছে ইলিশ শিকারের অলিখিত অনুমতি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে জানান, অবরোধের প্রথম দিকে আমরা নদীতে নামিনি। কিন্তু নৌ পুলিশকে ম্যানেজ করে কিছু জেলেরা মাছ ধরে। এ জন্য আমরাও নদীতে নামছি। নৌ পুলিশ যাদের কাছ থেকে টাকা পেয়েছে তাদেরকে ধরে না। আমাদের উপর বেশি এ্যাকশন নেয়।

অপর এক সূত্র জানায়, মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশের অভিযানে যেসব অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয় তা আইনানুযায়ী পুড়িয়ে ধ্বংস করার কথা থাকলে নাম মাত্র কিছু জাল পুড়িয়ে বাকি জাল পুনরায় জেলেদের কাছেই বিক্রি করা হয়। এসব জাল সংরক্ষণ ও বিক্রি কাজ করেন নৌ পুলিশের ভাড়া করা স্পিডবোট চালক স্বপন। ২-৩ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় এই জাল।

পুলিশের হাতে জব্দ জাল কিনে নেওয়া এক জেলে জানান, স্বপন পুলিশের স্পিডবোট চালায়। অভিযানে উদ্ধার করা জাল তার বাড়িতে থাকে। বিভিন্ন দামে স্বপন ওই জাল বিক্রি করে। আমি ৩ হাজার টাকার জাল কিনছি। একই দিনে চন্দ্রদ্বীপের কয়েকজন জেলেদের কাছে জাল বিক্রি করে স্বপন।

এ বিষয়ে কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. লুৎফার রহমান বলেন, নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা এবং কাল্পনিক। তদুপরি নৌ পুলিশের কেউ জড়িত থাকার কোনো তথ্য প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. মাহবুবু আলম জানান, মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এর বাহিরে অন্য কোনো দপ্তর অনিয়ম করলে তার দায়ভার মৎস্য বিভাগ নিবে না।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

পটুয়াখালী,শিকার,ইলিশ,তেঁতুলিয়া,অভয়াশ্রম

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close