• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বান্দরবানে গ্রেপ্তার জঙ্গি রুপুর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে

প্রকাশ:  ২৫ অক্টোবর ২০২২, ২২:৩৩
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

বান্দরবানে গ্রেপ্তার জঙ্গি মো: রুপু মিয়া (২৫)’র বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। সে উপজেলার ছৈলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রাড়ীগাঁও গ্রামের আব্দুস সালামের তৃতীয় পুত্র।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির সাইজামপাড়া ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি বাজার এলাকায় র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে র‍্যাব-৭ ও ১৫ অভিযান চালায়। সেই অভিযানে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা র‍্যাব।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রুপু মিয়া লেখাপড়ার পাশাপাশি চা-পাতা ও মোবাইলের কাভার ইত্যাদি পন্য গোবিন্দগঞ্জ, বাংলাবাজার, ছৈলা বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে কেনা বেচা করতো। এলাকায় সে ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত। তবে তার এলাকার লোকজনের সাথে যোগাযোগ কম ছিলো। ঢাকা- সিলেট বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপাতা-মোবাইল এক্সেসরিচের পণ্য ক্রয় করতে যেতো। পরিবারের ধারণা, ঢাকা-সিলেট সেখান থেকেই কোনোভাবে সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন।

এদিকে তার পিতা আব্দুস সালাম বোর কৃষিতে নির্ভরশীল। তার বড় ভাই রাজা মিয়া ওমানে থাকেন। মেঝ ভাই নাছির মিয়া সিলেটের কাজী ম্যানসনের ৩য় তলায় ট্রেইলারি করেন। টিনের ব্যাটনের ঘর। জরাজীর্ণ অবস্থা। এলাকায় তাদের তাদের ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। গ্রাম্য কোনো জটিলতায় নেই তারা।

রুপু মিয়ার পিতা আব্দুস সালাম বলেন, প্রায় ১৫-১৬ দিন যাবৎ সে বাড়িতে যোগাযোগ করে না। ছেলে বড় হয়েছে তাই ভাবতাম কয়দিন বাহিরে থাকবে আসবেনে। তবে তার মা বলতো খোজ নিতে তখন ফোন করলে বন্ধ পেতাম। এদিকে গত শুক্রবারে ভেবেছি শনিবারে ছাতক থানায় জিডি করবো। এর মধ্যেই বড় ভাই আব্দুল মনাফ মারা যান। বিকেলে আত্মীয় স্বজনেরা ফোনে জানায় ছেলে বান্দরবানে জঙ্গিদের হয়ে কাজ করতে যেয়ে ধরা পরে। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে।

নানু মিয়া নামে তার এলাকার একজন জানান, কাজে কামে ব্যস্ত থাকতাম। কথা হতো তবে বেশ একটা নয়। আমার আব্বা মারা যান শনিবার (২১ অক্টোবর) আব্বার জানাজায় চেয়ারম্যানসহ সবাই ছিলেন। কিন্তু রুপু মিয়া ছিলো না। বিকালে শুনেছি সে জঙ্গি সদস্য হওয়ায় র‍্যাব গ্রেপ্তার করে। সে এমনভাবে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়বে আমাদের কল্পনায়ও ছিলো না।

ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ বলেন, রুপু মিয়ার পিতা আব্দুস সালাম এলাকায় ভদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিত। কারোর কোন অভিযোগ নেই। সেই ব্যাক্তির সন্তান এমন কাজ করবে কল্পনা করতে পারছি। বিষয় আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, তার সম্পর্কে আরো গভীরভাবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দেশে জঙ্গিদের কোনো ছাড় নাই। স্থান নাই।

পূর্বপশ্চিমবিডি/শংকর দত্ত/এসএম

সুনামগঞ্জ,ছাতক,বাড়ি,বান্দরবান,গ্রেপ্তার,জঙ্গি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close