• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

৫২ ঘণ্টা পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মুক্ত করল শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ:  ০৪ নভেম্বর ২০২২, ২০:১৮
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

বুধবার সকাল থেকে অবরুদ্ধ ছিলেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ফরহাদ হোসেন। অবশেষে আজ শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে বের বেরিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন তিনি।

তৃতীয় শ্রেণির ২২ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবিতে উপাচার্যকে তাঁর কার্যালয়ে গত বুধবার সকাল সোয়া ৯টায় অবরুদ্ধ করেন কর্মচারীরা। উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন তাঁরা।

সম্পর্কিত খবর

    আজ শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপে নিজ কার্যালয় থেকে বের হতে পেরেছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ পড়েন তিনি।

    আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ সাধারণ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা কর্মচারী সিন্ডিকেট বন্ধ এবং নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি তোলেন। উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করার পেছনে জড়িত কর্মচারীদের শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা।

    এর আগে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে কার্যালয় থেকে বের করে নিয়ে আসতে চাইলে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত জানে। সেখান থেকে নির্দেশনা এলেই আমি আমার কার্যালয় থেকে বের হব। তবে আজকে আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করব।’ বেলা ১টার দিকে তিনি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদের উদ্দেশে রওনা হন উপাচার্য।

    এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে উপাচার্য বৈঠক ডাকেন বিকেল ৩টায়। সন্ধ্যা গড়ালেও বৈঠকে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের কেউ আসেননি। কর্মচারীরাও ছাত্রদের তোপের মুখে পড়ার ভয়ে অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা না দিয়েই ঘটনাস্থল থেকে সরে গেছেন।

    এ ব্যাপারে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম মাহফুজুর রহমান জানান, তাঁদের কর্মবিরতি এখনো অব্যাহত আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তিনি জানান, উপাচার্যের কার্যালয়ের বাইরে বের হতে তাঁরা কোনো বাধা দেননি। অবস্থান ধর্মঘট শুরুর পরেই উপাচার্যকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, সকালে হাঁটা বা বিশেষ কোনো প্রয়োজন হলে তিনি কার্যালয়ের বাইরে বের হতে পারবেন।

    মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানকারী মাহমুদুল হাসান দুলাল বলেন, ‘অযৌক্তিক কিছু দাবি আদায়ের জন্য তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা উপাচার্য স্যারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

    দুপুরে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আমি গর্বিত, আমি এমন কিছু সন্তান পেয়েছি, যারা সত্য, ন্যায় এবং বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে। তোমাদের মতো সন্তানরা থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এ দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়ায় তারা থাকলে দেশ জাতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই এগিয়ে যাবে।’

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close