• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জয়পুরহাটে ব্র্যাক কর্মকর্তাকে মারধর, ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ:  ০৮ নভেম্বর ২০২২, ২৩:২৪
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

চাঁদা না পেয়ে মারধরের অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক রেজার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ছাত্রলীগ সম্পাদক ছাড়াও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে ব্র্যাক সিড এন্ড এগ্রো এন্টার প্রাইজ বগুড়া অঞ্চলের বিপণন কর্মকর্তা সেলিম উর রহমান বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,মোবাইল ফোনে হুমকী দিয়ে জয়পুরহাট অঞ্চলের বিপণন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম এর কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা ও ১০ বস্তাা আলুবীজ দাবি করে জেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক রেজা। কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল দেখা না করায় ছাত্রলীগ নেতা রেজা ক্ষিপ্ত হয়। এ অবস্থায় সোমবার জহুরুল ইসলাম জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সড়কের ব্র্যাকের আলুবীজ ডিলার গোলাম রব্বানীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রাকিব ট্রেডার্সে যায়।

বিকেল পৌণে ৪টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা রেজা ওই দোকানে এসে দেখা না করার কৈফিয়ত চেয়ে জহুরুলের কাছে টাকা দাবি করে। জহুরুল টাকা দিতে অস্বীকার করায় থাপ্পর মেরে শার্টের কলার ধরে তাকে টেনে-হেঁচড়ে দোকান থেকে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে রেজার সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন যুবক জহুরুলকে টেনে-হেঁচড়ে দোকান ঘর থেকে বাহিরে এনে মারধর করে। এতে জহুরুল অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বীজ ডিলার গোলাম রব্বানীসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

প্রত্যক্ষদর্শী শহরের নতুনহাট সড়কের রাকিব ট্রেডার্সের মালিক ব্র্যাকের আলুবীজ ডিলার গোলাম রব্বানী বলেন, ওইদিন বিকেলে তার দোকানের সামনেই ব্র্যাক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি ছুটে গিয়ে ব্র্যাক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেছেন। তিনি না থাকলে হয়তো ওরা আরো মারধর করতো।

তবে চাঁদা দাবি অথবা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক রেজা বলেন, কৃষকরা বীজ আলু না পাওয়ায় বীজ ডিলারের দোকানে বীজের জন্য খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে ব্র্যাকের কোন কর্মকর্তার সাথে আমার দেখা বা কথা হয়নি। মিথ্যা অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে দলের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস অথবা নৈতিকতা বিরোধী অভিযোগ পাওয়া গেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্ত করার জন্য একজন সাব ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

মামলা,সম্পাদক,ছাত্রলীগ,মারধর,জয়পুরহাট,ব্র্যাক,কর্মকর্তা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close