সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী-মেয়েকে অপহরণ, একজন আটক

লক্ষ্মীপুরে সৌদি প্রবাসী মাইন উদ্দিনের স্ত্রী ফেন্সি আক্তার (৩৫) ও আয়েশা আক্তার (৭) কে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি মো. কাউসারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ৩ দিন পার হয়ে গেলেও ভিকটিমদের উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। স্ত্রী-মেয়েকে ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রবাসী।

এ ঘটনায় শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের উত্তর হামছাদী গ্রাম থেকে প্রধান অভিযুক্ত কাউসারের বাবা আবুল কাশেমকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর মাইন উদ্দিন বাদী হয়ে কাউসার ও কাশেমসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এতে অজ্ঞাত ৩ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আটক কাশেম উত্তর হামছাদী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।

মামলার বাদী একই গ্রামের বসির উল্যার ছেলে ও সৌদি প্রবাসী। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন। অভিযুক্তরা তার প্রতিবেশী।

অভিযোগ সূত্র জানায়, কাউসার নারী পাচারকারী। ভারতে নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দালালের মাধ্যমে তিনি নারীদের পাচার করে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রবাসী মাইন উদ্দিনের স্ত্রী ফেন্সিকে ভারতে চাকরির লোভ দেখায়। ঘটনাটি ফেন্সি তার স্বামীকে জানায়। পরে তার স্বামী স্থানীয় গন্যমান্যদের বিষয়টি জানিয়েছে। এর জের ধরেই ৭ ডিসেম্বর ছুটি শেষে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাউসারসহ অভিযুক্তরা প্রবাসীর মেয়ে আয়েশাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আটকে রাখে।

পরে অভিযুক্তরা মোবাইলফোনের মাধ্যমে তাকে আটকে রাখার ঘটনাটি প্রবাসীর স্ত্রীকে (ফেন্সি) জানায়। এসময় কাউসার জানিয়েছে ৫০ হাজার টাকা দিলে আয়েশাকে ছেড়ে দেবে। পরে মেয়েকে আনতে গেলে অভিযুক্তরা ফেন্সিকেও জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ফেন্সির মোবাইলফোন বন্ধ রয়েছে।

প্রবাসী মাইন উদ্দিন বলেন, আমার স্ত্রী-মেয়ে কোথায়, কেমন আছে বলতে পারছি না। আমি তাদেরকে সুস্থ্য অবস্থায় ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কাউসারের বিরুদ্ধে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় তিনি আমার স্ত্রী-মেয়েকে অপহরণ করে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। ভিকটিমদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মামলা রুজু করা হবে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম