নরসিংদীতে উরসে যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী
নরসিংদীর মনোহরদীতে উরসে যাওয়ার পথে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানসহ চারজনকে আসামি করে মনোহরদী থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে মনোহরদীর সৈয়দেরগাঁও বিলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান একই ইউনিয়নের গোখলা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ ও নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার জানায়, মেহেদী হাসান ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। এতে বিরক্ত হয়ে বাড়িতে মাকে জানায় সে। পরে তার মা মেহেদী হাসানের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানান এবং উত্ত্যক্ত করতে ছেলেকে নিষেধ করতে বলেন। এ ঘটনায় মেহেদী আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
সোমবার রাতে বাড়ির নিকটবর্তী পাঁচ পিরের মাজারে বার্ষিক উরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন যান। মধ্যরাতে প্রয়োজনে বাড়িতে আসে মাদ্রাসাছাত্রী।
পুনরায় যাওয়ার পথে মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত আরও তিনজন তার মুখ চেপে ধরে সৈয়দেরগাঁও বিলের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে চারজন পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে কান্না করতে করতে সে তার বাবা-মাকে জানায়। পরে বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে মনোহরদী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে মেহেদী হাসানকে চিহ্নিত করেছে ভুক্তভোগী। ঘটনার সঙ্গে বাকিদের সম্পৃক্ততা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম