• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দেড় যুগেও শেষ হয়নি কিবরিয়া হত্যার বিচার

প্রকাশ:  ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:০০
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ১৮ বছর পূর্ণ হলো শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি)। ২০০৫ সালের এইদিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক জনসভা শেষে এক গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের দেড় যুগ পার হলেও বিচার কাজ শেষ হয়নি। এ নিয়ে নিহতের স্বজনদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কিবরিয়া হত্যা ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। তিন দফা তদন্ত শেষে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরমধ্যে তিনজনের নাম, ঠিকানা সঠিক না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেন আদালত। বিভিন্ন মামলায় তিনজনের ফাঁসি কার্যকর হয়। অপর একজন হারিছ চৌধুরী পলাতক থেকে মারা যান।

বর্তমানে মামলাটির ২৮ জন আসামি রয়েছেন। এরমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্য আসামিরা দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক রয়েছেন।

২০১৫ সালে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। কিন্তু বিভিন্ন সময় আসামি হাজির হলেও সাক্ষী হাজির করা সম্ভব হয়নি। কখনো আবার সাক্ষী হাজির হলেও আসামি আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষী নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ওই ঘটনায় নিহত আব্দুর রহিমের মেয়ে ফাতেমা আক্তার চম্পা বলেন, ১৮ বছর ধরে বিচার চাচ্ছি। আর কতো বিচার চাইবো। এখন আমরা আর বিচার চাই না। আল্লাহর কাছেই এখন বিচার দেই। এ বিচার আল্লাহই করবেন।

সিদ্দিক আলীর ছেলে কদ্দুছ মিয়া বলেন, আমরা শুধু বিচার চাই। কিন্তু এতো বছরেও পাইনি। আর কী বিচার পাবো। এখন আমরা আল্লাহর কাছেই বিচার চাই।

শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেও কেন আমার বাবার হত্যার বিচার করেনি তা দেশের মানুষ বুঝতে পারছে। আমরা সব সময়ই বলে আসছি গ্রেনেডের উৎস এবং আসল মদদদাতারা কে তা বের করতে হবে। কিন্তু আমরা বার বার চাইলেও তদন্তে তাদের এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ ছিলো না।

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার একদিন ঠিকই বাংলাদেশে হবে। তবে সে দিন এখনো আসেনি।

মামলার আইনজীবী সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমেদ আবদাল বলেন, ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়েছে। সবার সাক্ষী নেওয়া সম্ভব নয়। অনেকে মারা গেছেন, অনেকের ঠিকানা বদল হয়েছে। তবে আগামী দেড় থেকে ২ বছরের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

হবিগঞ্জ,বিচার,কিবরিয়া হত্যা,এএমএস কিবরিয়া,হত্যাকাণ্ড

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close