সিলেটে মাইক্রো বাসের চাকা ফেটে অটোরিকশায় ধাক্কা, নিহত বেড়ে ৭

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে মোট সাতজনে দাঁড়াল।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ভোলাগঞ্জের খাগাইল নামক স্থানে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত এবং দুজন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুজনেরও মৃত্যু হলো।

সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভুঞা জানান, একটি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুটি গাড়িই পাশের খালে পড়ে যায়।

পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাসটি ভোলাগঞ্জের দিকে এবং অটোরিকশাটি সিলেটের দিকে যাচ্ছিল। পথে মাইক্রোবাসের সামনের ডানপাশের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটির সঙ্গে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাটির চালক এবং চার যাত্রী নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন নারী এবং চারজন পুরুষ। এ সময় অটোরিকশাটিতে থাকা এক যাত্রী এবং মাইক্রোবাসটির চালক আহত হন।

পুলিশ আরও জানায়, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০০ গজ উত্তরে মাইক্রোবাসটির চালককে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে মাইক্রোবাসটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন, তা জানা যায়নি।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় পাঁচজন হাসপাতালে আনার আগে মারা গেছেন। দুজন খুবই আশঙ্কাজনক ছিলেন, তারাও মারা গেছেন।’

নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. কালন (৩০) ও কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে কাজি মাওলানা আমির উদ্দিন। আমির কোম্পানীগঞ্জের পারোয়া-আনোয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক।

এর আগে জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা শ্যামল বণিক জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়।