• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার দায়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ:  ১২ আগস্ট ২০২৩, ১৯:২৯ | আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৩৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগরীর বায়োজিদ লিংক রোডের পার্শ্ববর্তী উত্তর পাহাড়তলী মৌজাধীন এলাকায় পাহাড় কেটে রাস্তা বানানোর দায়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে প্রশাসন। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বায়েজিদ লিংক রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি নজরে আসে তার। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। নির্দেশ পেয়ে, বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে পাহাড় কাটার সঙ্গে সম্পৃক্তরা পালিয়ে যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, সিডিএ লিংকরোডের পার্শ্বে প্রায় ৯০ ডিগ্রি খাড়াভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছে আকবর হোসেন খোকন নামের এক ব্যাক্তি।

তিনি আরও জানান, রেকর্ড অনুযায়ী উত্তর পাহাড়তলী মৌজার টিলা শ্রেণির ১৯৩ দাগের ৬৪১/১০ খতিয়ানটির মালিক বিবির হাট, পশ্চিমপাড় এলাকার জাফর আহামদ মজুমদার, পাড়া ও মোহাম্মদ হাছান আহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, সাং- পশ্চিম ষোলশহর, বিবির হাট বড়, বাড়ি লেইন, থানা: পাচলাইশ। উক্ত জায়গাটির বায়না মূলে মালিক মো. আকবর হোসেন খোকন। তাদের পাহাড় কাটার বিষয়ে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

এছাড়াও ৬৪১ নং বি এস খতিয়ান ও ৬৪১ হতে সৃজিত সকল নামজারি খতিয়ান সমূহের মালিকের লিংক রোড এলাকায় ১৯৩ দাগে পাহাড় কাটারও সত্যতা পাওয়া গেছে। এ টিলা শ্রেণির জমিতে ১৯৩ দাগে সর্বমোট ১.৬০ একর জায়গা এবং একাধিক মালিকানা রয়েছে। উক্ত জায়গার মালিকানা বিষয়ে উপস্থিত মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে কেউ মালিকানা স্বীকার করেনি। তবে রেকর্ড অনুযায়ী ১৭ জন ব্যাক্তির মালিকানা শনাক্ত করা হয়। উক্ত দাগে ১৭ জনের মালিকানা থাকলেও অধিকাংশ জায়গা বায়নাসূত্রে মালিক মো. আকবর হোসেন খোকন। তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আজ শনিবার পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওসি আকবর শাহকে নিয়মিত মামলার নির্দেশনা প্রদান করেন উমর ফারুক ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর হতে ২ দফা সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেলেও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কোন মামলা করেনি। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ওমর ফারুক।

সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং অনেক মামলা করা হয়েছে। আজকেও রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি নিয়েও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, লিংক রোডের পার্শ্বে দৃশ্যমান জায়গায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করছে একটি চক্র। দ্রুততার সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এক্ষেত্রে কারোও ছাড় নেই। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। ইতোমধ্যেই যারা পাহাড় কেটেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পাহাড় কাটা,মামলা,মাটিচুরি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close