• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ছাত্রীরা, ঢাবির কুয়েত মৈত্রী হলে ৫৫ জনের জন্য এক শৌচাগার

প্রকাশ:  ১৪ আগস্ট ২০২৩, ২০:১৬
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের জিডিপির ৬% শিক্ষায় ব্যয় করা হয়। এদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। এখানে জিডিপির ২% এরও কম শিক্ষায় বরাদ্দ করা হয়। ফলে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না, গবেষণামানসহ নানাদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা।

দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নতুন কিছু নয়। তবে ক্রমে তা বেড়ে চলেছে। একইসঙ্গে হলের পরিবেশেরও অবনতি হচ্ছে।

আবাসনসংকট নিরসনে তিন দফা দাবিতে সোমবার (১৪ আগষ্ট) বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আকতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এর আগে রবিবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তার ঠিক আগে তারা তিন দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন।

তাদের দাবিগুলো হলো, এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে অন্য হলে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ আসন নিশ্চিত করা, পরবর্তী সময় হলের আসনসংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন শিক্ষার্থী অ্যালটমেন্ট দেওয়া এবং হলের সার্বিক সংকট বিবেচনায় মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ছয়জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ না দেওয়া।

সোমবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থারত শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েত মৈত্রী হলে মূল ভবনে বৈধ আসনের কক্ষের সংখ্যা ৮৯টি। এরমধ্যে ৫৭টি কক্ষে ৭ জন করে প্রায় ৪০০ জন এবং বাকি ৩১টি কক্ষে ৬ জন করে ১৮৬ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। এছাড়া হলের মূল ভবনে ৫টি অতিথি কক্ষে আরও অবস্থান করছেন ১০০ জন শিক্ষার্থী। ঝুঁকিপূর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী হলের সিকদার মনোয়ারা নামের ভবনের তৃতীয় তলার ১৫টি অতিথি কক্ষে অবস্থান করছেন ১১০ জন শিক্ষার্থী। একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে অবস্থান করছেন ২৪ জন শিক্ষার্থী।

তারা জানান, বৈধ সিটের বিপরীতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করায় হলের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া শৌচাগারও পর্যাপ্ত নয়। মূল ভবনের ৫টি অতিথি কক্ষে ৩টি শৌচাগার রয়েছে; আর শিক্ষার্থী রয়েছেন ১০০ জন। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ সিকদার মনোয়ারা ভবনে দুটি শৌচাগার রয়েছে, সেখানে অবস্থান করছেন ১১০ জন শিক্ষার্থী। একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় এক কক্ষের ২৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি শৌচাগারের ব্যবস্থা আছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে বসবাসের কোনো ধরনের পরিবেশ নেই। শৌচাগার অপর্যাপ্ত থাকায় তারা ঠিকমতো গোসল করারও সুযোগ পান না।

তারা বলেন, “গণরুমে পচে মরতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করছে?”

বাধ্য হয়ে অবস্থান কর্মসূচি নিতে হয়েছে জানিয়ে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, “অন্য ছাত্রী হলে ছয় মাস অতিথি কক্ষে থাকার পর বৈধ আসন পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সে রকম সুযোগ নেই। বর্তমানে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরাও অতিথি কক্ষে থাকছেন। অতিথি কক্ষের এই চাপ কমাতে মূল ভবনের প্রতি কক্ষে সাতজনকে করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটি কোনো সমাধান নয়। এতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।”

অবিলম্বে সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ঝুঁকিপূর্ণ,ঢাবি,শৌচাগার

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close