• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অপহরণের ১৩ দিন পর যুবকের খন্ডিত লাশ উদ্ধার, গণপিটুনিতে আসামি নিহত

প্রকাশ:  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৫২
নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা শিলছড়ি নামক স্থান থেকে অপহরণের ১৩ দিন পর শিবলী সাদেক হৃদয় (২০) নামের অপহৃত কিশোরের খণ্ড খণ্ড কংকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণ মামলার মূল আসামী উমংচিং মারমার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৮টার দিকে লাশের খন্ডিত অংশ উদ্ধার করে রাউজান থানা পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করে নিয়ে আসার পথে কদলপুর আশরাফ শাহ মাজার সড়কে ব্যরিকেড দিয়ে উত্তেজিত কয়েক হাজার নারী-পুরুষ পুলিশের গাড়ী অবরোধ করে গাড়ীতে থাকা মামলার মূল আসামী উমংচিং মারমা (২৬) কে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিঠুনিতে হত্যা করে। এ সময় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্তি পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আসামী ছিনতাইয়ের সময় উত্তেজিত কয়েক হাজার জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষে রাউজান থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুণসহ রাউজান থানা পুলিশের ৮ কর্মকর্তা আহত হন। আহতরা হলেন উপ পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন (৩৫) কিশোর কুমার (৩২) আজিজুল হাকিম (২৯), শাহিদুল ইসলাম (৩৭) কানু রাম (৪০) আহতদের মধ্যে কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ী ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো: আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামান, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে রাউজান থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন।

গত ২৮ আগস্ট উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের পাহাড় সংলগ্ন একটি মুরগীর খামার থেকে নিখোঁজ হন কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের শফিক ড্রাইভারের ছেলে কলেজছাত্র শিবলি। শিবলি ওই পোল্ট্রি খামারে ম্যানেজারের কাজ করতেন। একই খামারে তার সাথে কয়েকজন আদিবাসীও কাজ করতেন।

তাদের মধ্যে কোন মনোমালিন্য অথবা বিরোধের কারণে অপহরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিবলির পরিবার জানিয়েছে, গত দু মাস আগে সেখানে কাজ করা আদিবাসী যুবকদের সাথে শিবলির বিরোধ হয়। পরে মালিকের উদ্যোগে তাদের মিলিয়ে দেওয়া হয়। তার ঠিক দুই মাস পর অপহরণ হলেন শিবলি। এরপর অপহরণকারীদের দাবি অনুসারে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছিলেন সাদিকের বাবা। পরে মামলার সূত্র ধরে র‌্যাবের হাতে মূল আসামী আটকের পর তার স্বীকারোক্তিতে লাশের খন্ডিত অংশ একই ইউনিয়েনের দুর্গম পাহাড়ী জনপদ থেকে উদ্ধার হয়।

ছেলের মৃত্যুর সংবাদে বুকফাঁটা আহাজারিতে ফেটে পড়েন মা নাহিদা আকতার। এ সময় তার স্বজনরা হৃদয় হত্যাকারীদের ফাসির দাবি জানান।

রাউজান থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অপহরণ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close