সিন্ডিকেটের কারণে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আলুতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আলুতে আমাদের ঘাটতি নেই। তারপরও সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের মাঝেমধ্যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ফরিদপুরে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ও জনপ্রিয় জাত সম্প্রসারণ এবং শস্য বিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সিন্ডিকেট করে আলুর কোল্ড স্টোরেজগুলো (হিমাগার) সাধারণ মানুষের টাকা শুষে নিয়েছে। আমরা অসহায় হয়ে দেখেছি, কিচ্ছু করতে পারিনি। আমরা বেশি চাপ দিলে বাজার থেকে সব আলু তুলে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, কৃষক পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পান না। আমরা পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। ফরিদপুরে ৫০-৬০টির মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা খুব কার্যকরী। ভবিষ্যতে আমরা এ প্রযুক্তি আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চাই। সঠিকভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে ভবিষ্যতে আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।
নির্বাচন সামনে রেখে দেশ অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নানা চক্র এর পেছনে কাজ করছে। তারা (বিএনপি) ১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলো। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অচল করতে চেয়েছিল। ১৫০ জন নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলো। গণতন্ত্রের নামে চরম বর্বরতা দেখিয়েছিলো। গাড়ির দরজায় তালা দিয়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মেরেছিলো। এর থেকে বীভৎস আর কী হতে পারে।
তিনি বলেন, তারা আবার হুমকি দিচ্ছে, বাংলাদেশকে অচল করে দেবে। তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় ব্যস্ত। এটা দেশের জন্য, অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সচেতনতার সঙ্গে এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে।
মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ খাদ্যঘাটতির দেশ ছিলো। ১৯৭২-৭৩ সালে অনেক দুর্ভিক্ষের মোকাবিলা করেছি। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম ও কৃষকের ঘামের অবদান এটি। বর্তমানে চালের দাম নিম্নমুখী।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম