বরগুনায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা
বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কলেজপড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা বেগমের (১৭) আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস নেন ফাতেমা।
সম্পর্কিত খবর
ফাতেমা ওই গ্রামের আশ্রাব আলীর মেয়ে। আমতলী সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, অভাবের সংসারে আশ্রাব আলী দিনরাত পরিশ্রম করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতেন। মা তাসলিমা বেগম বাড়ির পাশে হিড বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের রান্নার কাজ করেন।
মায়ের ঝিয়ের কাজে ফাতেমা ‘অসম্মানবোধ’ করতেন। মাকে ঝিয়ের কাজ করতে নিষেধও করেন তিনি। বৃহস্পতিবার কলেজ থেকে এসে ফাতেমা শুনতে পান তার মা কাজ করতে গিয়েছে। এ নিয়ে মা-মেয়ের মধ্য ঝগড়া হয়। রাত সাড়ে ৯ টায় অভিমান করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস নেন ফাতেমা। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ এসে ফাতেমা বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা নিয়ে যায়।
ফাতেমার বাবা আশ্রাব আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। রাতে বাড়িতে এসে শুনতে পাই মেয়ে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।
মা তাসলিমা বলেন, আমার মেয়ে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। আমি মেসে রান্নার কাজ করি। এতে কলেজের বন্ধুদের কাছে ‘ছোট’ হবে-এমনটা মনে করে সে আত্মহত্যা করেছে।
বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই মেয়ের দাফনের অনুমতি চেয়েছে। তবে মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। মেয়েটির একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করে দেখবো কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম