বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদি এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শহরের বোয়ালী এলাকার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন এশা। ওই সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মামলার পর ৩০ জুন পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
সম্পর্কিত খবর
এজাহারে বলা হয়, ধর্ষণের কারণে এশা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। মামলায় বড় মনির স্ত্রীকেও আসামি করা হয়। জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব বড় মনির টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির বড় ভাই।
জানা গেছে, বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পর আদালতের নির্দেশে এশার গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে ‘শিশুটির জৈবিক পিতা বড় মনির নন’ বলে উল্লেখ করা হয়। পরে গত অক্টোবরে জামিনে কারামুক্ত হন তিনি। এরপর থেকে এশা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। হঠাৎ তার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, শিশুপুত্রকে নিয়ে নিজেদের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন এশা। ওই ফ্ল্যাটে তার সন্তানের কান্না শুনতে পান এক নারী। দরজায় ধাক্কা দিয়ে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ঘরে ঢুকে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বাড়ির ভেতরে ও চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম